বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

ইসলামী আলোচককে হাতুড়িপেটা, পলকসহ ২৯ নামে মামলার আবেদন

জেলা প্রতিনিধি, নাটোর
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

নাটোরের সিংড়ায় মো. আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ইসলামী আলোচককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটার ঘটনায় পলকসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সিংড়া থানায় এ এজাহার দায়ের করেন।


বিজ্ঞাপন


সিংড়া থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসমাউল হক বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই ইসলামী আলোচক নাটোর জেলার মৃত রিয়াজ উদ্দিন ছেলে।

মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীর জুনাইদ আহমেদ পলক, সিংড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, পলকের শ্যালক মো. লুৎফর হাবিব রুবেল, চৌগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম ভোলাসহ আওয়ামী লীগের ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সারজিস-হাসনাতের গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, চালক-সহকারী রিমান্ডে

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ছাতার বাড়িয়া শাহী জামে মসজিদে ইসলামী জালসায় আমি আলোচক হিসেবে আলোচনা করছিলাম। জালসায় প্রধান অতিথি ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও তার সঙ্গে ২/৭ নম্বর আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। জালসায় ১ নম্বর আসামি পলক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ফ্যাসিবাদী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১৫ আগস্টে নিহত ব্যক্তিদের নাম ধরে দোয়া করার জন্য নির্দেশ দেন। আমি কারও নাম উল্লেখ না সবার উদ্দেশে দোয়া-মোনাজাত শেষ করি। সভা শেষে ১ নম্বর আসামি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২০২৩ সালেন ১০ নভেম্বর মোটরসাইকেলযোগে কালিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ থেকে  আলীগঞ্জ রহিম উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস এসে আমার গতি রোধ করে। জোরপূর্বক অপহরণ করে আমাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর গাড়ির মধ্যে আমাকে হত্যার উদ্দেশে হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে পায়ের হাঁটুতে আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি মারপিট করে চোখ বেঁধে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। নন্দীগ্রাম মনিনাগ বাজারের একটি পুকুরের পাড় থেকে স্থানীয়রা আমাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। ২ মাস রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। আসামিদের হত্যার হুমকির কারণে প্রাণের ভয়ে অভিযোগ করতে পারিনি বলে এজাহারে জানা গেছে।

ওসি মো. আসমাউল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। মামলার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন