মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক ভীষণ জরুরি। কিন্তু সবার সম্পর্ক সুখের হয় না। অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সারাক্ষণ ঝগড়া, মান-অভিমান, ভুল বোঝাবুঝি লেগেই থাকে। ফলে মন মেজাজ হয়ে থাকে খিটখিটে। একটা সময় মনে হয়, আমি কি তবে ভুল করলাম? ভুল মানুষকে পছন্দ করলাম?
সম্পর্ক সুস্থ থাকলে মন-মেজাজ ভালো থাকে। সব কাজে আনন্দ পাওয়া যায়। তবে সম্পর্ক সুন্দর করে তুলতে দুজনের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি সঙ্গীকে ‘গ্রিন ফ্ল্যাগ’ ও হতে হয়। আপনি যে সঠিক সম্পর্কে আছেন তা কী করে বুঝবেন? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন

কথা শোনে এবং আপনাকে বোঝে
সব সম্পর্কেই ঝগড়া-ঝামেলা, কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এর মধ্যেও সঙ্গী আপনার কথা মন দিয়ে শুনছে কি না, আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কি না— সেদিকে খেয়াল রাখুন। তিনি আপনাকে বোঝার চেষ্টা করছে কি না দেখুন। সঙ্গীর ছোট ছোট বিষয়গুলো খেয়াল করলেই বোঝা যায় তিনি অপরপক্ষের প্রতি কতটা যত্নবান।
যদি সঙ্গী আপনার কথা বোঝার চেষ্টা করেন, আপনার মতকে গুরুত্ব দেন তাহলে বুঝবেন আপনি সঠিক সম্পর্কে আছেন।

বিশ্বাস ও সাপোর্ট
যেকোনো সম্পর্কের অন্যতম ভিত হলো বিশ্বাস। আপনারা দুজন দুজনকে কতটা বিশ্বাস করেন, তার ওপর নির্ভর করছে সম্পর্ক কেমন হবে। যদি আপনাকে নিয়ে সঙ্গীর মনে সন্দেহ তৈরি হয় তাহলে ধীরে ধীরে সম্পর্ক জটিল হতে পারে। এর পাশাপাশি পার্টনার সাপোর্টিভ হওয়া চাই।
আরও পড়ুন- স্ত্রীর যে ৫টি বিষয়ের প্রেমে পড়েন স্বামী
ভালো-মন্দ যাই হোক না কেন একে অন্যের পাশে থাকা জরুরি। এই বিষয়টি সম্পর্ককে সুন্দর করে।

শারীরিক সম্পর্ক
মনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও একে অন্যের কাছাকাছি থাকা জরুরি। একটি সুন্দর বিবাহিত জীবনের অন্যতম লক্ষণ হলো সুন্দর যৌন জীবন। এছাড়া সঙ্গী আপনাকে কতটা ভালোবাসে, তার জীবনে আপনার ভূমিকা কতটা— এগুলো যদি সঙ্গী বারবার প্রকাশ করে, তাহলে বুঝবেন সে আপনার জন্য ‘গ্রিন ফ্ল্যাগ’। এসব বিষয় একটি সম্পর্ককে সুন্দর করে তোলে।
এনএম

