চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ দুপুর দুইটার পর শেষ হলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) নগরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে নগরীতে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি চকবাজার এলাকায় একটি শিশু দুর্ঘটনায় পড়ে নালায় পড়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়।
এই ঘটনার পর থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। রিকশা ও গ্যারেজে অভিযান পরিচালনার সময় চালকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। উপ-কমিশনার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘যত বাধাই আসুক, এই ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনগুলোকে সড়কে চলতে দেওয়া হবে না।’
গত ১৮ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে আত্মীয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা নগরের চকবাজার এলাকার হিজড়াখালে পড়ে যায়। রিকশাটি খালে পড়লে ছয় মাস বয়সী শিশু সেহরিশ নিখোঁজ হয়। পরদিন চাক্তাই এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ ও ডাম্পিং করে।
এই অভিযানে রিকশা মালিক ও চালকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শিশু সেহরিশের উদ্ধারে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং নগরবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
নগরীর এক প্রান্তে যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছিল, অপরপ্রান্তে হালিশহর থানার সামনে বেপরোয়া গতির একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যাত্রীসহ খালে পড়ে যায়। খালে পড়া যাত্রীদের স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
প্রতিনিধি/একেবি
