সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় লাকড়ির চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০টি পরিবার নিঃস্ব হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নের আহসানপুর গ্রামের কবির মিয়ার রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
বিজ্ঞাপন
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, আব্দুল হান্নানের ছেলে আল আমিন, আব্দুল কাদিরের ছেলে মাসুক মিয়া, সেজুল মিয়া, সাচ্চু মিয়া, আব্দুল করিমের ছেলে হুমায়ুন, সদরুল আমিন সদরুল আমিন, আমিরুল ইসলামের ছেলে বাবিল, আব্দুল হাসিমের ছেলে কবির মিয়া, জহুর আলম, আকবর আলীর ছেলে আলী হায়দার, আবুল কালামের ছেলে ইসপা, আব্দুল মল্লিকের ছেলে বাচ্চু মিয়া, ইমান আলীর ছেলে ইউনুছ আলী, আব্দুর বর ছেলে সুলতান মিয়া, মাসুক মিয়ার ছেলে সোয়েব আলম, আব্দুল মল্লিকের ছেলে মনির মিয়া, মকরম আলীর ছেলে আবুল কাহার, আলম মিয়া, আব্দুল গফুরের ছেলে মতি মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে কবির মিয়ার রান্না ঘরের লাকড়ির চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। একটি ঘরের সঙ্গে আরেকটি ঘর পাশাপাশি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে আহসানপুরসহ পাশের মাহমুদপুর, হরিনাকান্দি, হরিপুর গ্রাম থেকে দলে দলে লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসও এসে যোগ দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ধানসহ ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাত ৯টার দিকে ইউএনও মুশফিকীন নূর ও ওসি দিলীপকুমার দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বেহেলী ইউপি চেয়রম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক জামালগঞ্জ থেকে স্পিডবোডে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ফায়ার সার্ভিস ও গ্রামবাসীরা প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। না হলে পুরো গ্রামই পুড়ে ছাই হয়ে যেত। আমি সংসদ সদস্য অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকার এবং ইউএনও মুশফিকুন নূরকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
জামালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার বিজয় সিংহ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সামন্ত সরকার আমাদের জানালে তাৎক্ষণিক আমাদের ৯ সদস্য ঘটনাস্থলে ছুটে যান। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
প্রতিনিধি/এসএস