ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-গলাচিপা রুটে দীর্ঘ এক বছর পর আবার দোতলা লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা থেকে বাগেরহাট-২ লঞ্চ ছেড়ে আসার মধ্যে দিয়ে এই সার্ভিস শুরু হয়। এই সার্ভিসে যুক্ত হবে সাত্তার খান-১।
বিজ্ঞাপন
ঈদ সার্ভিস বাদে সবসময় এই রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ যাত্রীদের।
লঞ্চ মালিক সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর লোহালিয়া ব্রিজের কাজ চলার কারণে এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পদ্মা সেতু চালুর কারণে যাত্রীরা সড়ক পথে বেশি যাতায়াত করে আসছে। ফলে যাত্রী সংকটে এক বছর আগে থেকে ঢাকা-গলাচিপা রুটে দোতলা লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে।
এদিকে নৌ-বিধৌত এলাকা হওয়ায় গলাচিপায় আড়াই শতাধিক ব্যবসায়ী রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নানান ধরনের মালামাল ঢাকা থেকে পরিবহনে লঞ্চের উপর নির্ভর করত হতো। এবারে ঈদুল ফিতর ও বৈশাখী উৎসব কাছাকাছি হওয়ায় পণ্যের চাহিদাও তুলনামূলক বেশি। লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে অন্য পরিবহনে মালামাল পরিবহন করতে হয়েছে। এতে নিত্যপণ্য দ্রব্যের দামের উপর প্রভাব পড়ছে। কাঁচা পণ্য শাক-সবজি বা মাছ পরিবহনেও বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। তাই সবসময়ের জন্য এই লঞ্চ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বিজ্ঞাপন
গলাচিপা পৌরসভার কাপর ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ মিয়া জানান, যেই লঞ্চে ঢাকা থেকে গলাচিপা কাপড়ের এক গাট্টি আনতে ৫ হাজার টাকা খরচ হতো, সেই গাট্টি আনতে কুরিয়ার খরচ হয় ১০ হাজার টাকার অধিক। কুরিয়ার সার্ভিসরা ঢাকা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত মালামাল নিয়ে আসে। পরে এসব মালামাল ব্যবসায়ীদের অন্য যানবাহনে নিয়ে আসতে খরচ বেড়ে যায়।
নৌ-পরিবহন যৌথ মালিকানা প্রতিনিধি মজিবর রহমান জানান, লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিক ও কর্মচারী আর্থিকভাবে সমস্যায় রয়েছে। লঞ্চঘাট-কেন্দ্রিক ৫০ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ নেই বললেই চলে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, ঈদ উপলক্ষে দোতলা লঞ্চের সার্ভিসের কথা শুনেছি। লঞ্চ সার্ভিস চালু থাকলে সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি অনেক লাঘব হবে।
প্রতিনিধি/ এজে