অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে আবারও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৯ জন সদস্য। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত পিলার ৪৫/১৮ এর কাছাকাছি নুরুল আলম কোম্পানির চা বাগানে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ জন সদস্যকে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিজিপি সদস্যরা সকাল ৯টার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। পরে নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবির জামছড়ি বিওপি পয়েন্টের বিজিবির সদস্যরা তাদের চা বাগানে ঘিরে রাখেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। এলাকাটি তার ইউনিয়নের হলেও নেটওয়ার্কবিহীন হওয়ায় কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বিজিবি সদস্যরা সাধারণ নাগরিককে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
শরিফুল ইসলাম বলেন, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে ‘অংথাপায়া ক্যাম্প’ থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের নিরস্ত্র করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসে বিদ্রোহীদের হামলার মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ (বিজিপি) ৩৩০ জন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি/জেবি