পিরোজপুরের নাজিরপুরের বৈঠাকাটায় অবস্থিত বেলুয়া নদীতে কাক ডাকা ভোরে বসে ভাসমান সবজি বাজার।
প্রতিদিনের মতো আজ শনিবারও (১২ এপ্রিল) বসেছিল সেই বাজার।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু আজকের বাজারটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। নাজিরপুর উপজেলা থেকে বৈঠাকাটা যেতে ১৮ কিলোমিটার রাস্তাই খানাখন্দে আর ধুলায় ভরা, সেখানে কাজ না থাকলে যায় না কেউ।
হঠাৎ করে এই ধুলো মাখা রাস্তা মাড়িয়ে বাজার পরির্দশন, স্থানীয়দের সুবিধা-অসুবিধা ও উন্নয়নমূলক কাজ দেখতে হাজির হন পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম খান। তখন ঘড়িতে হয়ত ৭টা বেজেছে।
ভাসমান বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা খুশি হয়ে বলেন, এতো ভোরে ধুলো আর ভাঙা রাস্তা পেরিয়ে স্যার আসবে, তা আমরা বুঝিনি।
ভাসমান বাজার পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম খাঁন বলেন, বেলুয়া নদীর ওপরে যে হাট আমি দেখলাম, এটি সম্ভবত বাংলাদেশের বৃহত্তম ভাসমান হাট। এটি আসলেই অদ্ভুত সুন্দর একটি জায়গা। যারা ইতালির ভেনিস দেখেছে, তার চেয়ে কিন্তু এই এলাকার সৌন্দর্য কম না। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ। রোড ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে বাদ দিয়ে নৌ-ভিত্তিক একটা বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে এখানে, এটা সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে। এখানকার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অবাধ বাণিজ্য দেখে আমি আসলেই বিমোহিত। যদি এই অঞ্চলটিকে সুন্দর করে গড়ে তোলা যায়, তবে এটি একটি বিরাট অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমি দেখলাম এ এলাকাটি একটু অগোছালো। এখানে যদি পাড় বাঁধানো যায় বা পাড়ের দোকানগুলোতে নান্দনিকতা আনা যায়, তাহলে আমার মনে হয় বাজারটির সৌন্দর্য আরও বাড়বে। এবার যে বিষয়গুলো আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে, আমি সেগুলো নিয়ে কাজ করবো। স্থানীয় প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ - আমরা সবাই মিলে কাজ করলে এই অঞ্চল তথা বাজারটি সুন্দর একটি স্থানে পরিণত হবে।
জেলা প্রশাসকের বাজার পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন - অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনি, নাজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কলারদোয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাসানাত ডালিম।
প্রতিনিধি/ এমইউ