images

জাতীয়

আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ ২২ ইস্যুতে নজর ইসির

মো. মেহেদী হাসান হাসিব

২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন। বৈঠকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাসহ ২২টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) ইসির প্রস্তুত করা বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ২২টি বিষয়ের ওপর আলোচনা হবে। এর মধ্যে নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও স্থান পাবে। কমিশনের নির্দেশনা মেনে সভার গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।’

নির্বাচন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও আসন সংখ্যা আগের মতো ৩০০টিই থাকছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুরুষ ভোটার ছিল ৬ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যা ৬ কোটি ৩৯ লাখ ২৮ হাজার ৮০৯ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটার ছিল ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৩৪ হাজার ১০৩ জন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যাটা ৬ কোটি ২৩ লাখ ৬ হাজার ১৭৭ জন। এছাড়া গত নির্বাচনে হিজড়া ভোটার ছিল ৮৫১ জন, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮৫ জনে। নারী, পুরুষ ও হিজড়া মিলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ ৩৬ হাজার ১৭১ জন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যাটা ছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘এবার সর্বমোট ভোটকেন্দ্র থাকবে ৪২ হাজার ৭৬১টি। এসব কেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষ থাকবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭টি এবং নারীদের জন্য ভোট কক্ষ থাকবে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি।

সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২ হাজার ভোটকক্ষ থাকবে।

আখতার আহমেদ বলেন, ‘একটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ৩ হাজার ভোটার থাকবে। এটি ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে এই সংখ্যা সামঞ্জস্য করা হবে।’

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬৬ জন। গত নির্বাচনে দুই জন বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জন জেলা প্রশাসক রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৫৯২ জন। এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৪৯৫ জন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ১৪ জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ৮ জন, জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার ১১ জন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ৫৬ জন এবং অন্যান্য ৮ জন দায়িত্ব পালন করেছেন।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের বিষয়েও কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে ইসি।

২২ ইস্যুর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো

১. ভোটকেন্দ্র স্থাপনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন: সংসদ নির্বাচনের নীতিমালা অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী কেন্দ্রসমূহের ভবন, যাতায়াত পথ, বিদ্যুৎ, পয়ঃনিষ্কাশনসহ ভৌত অবকাঠামো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২. ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত: ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করে প্যানেল প্রস্তুত শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

৩. পার্বত্য এলাকায় পরিবহন সহায়তা: পার্বত্য এলাকার কিছু ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পরিবহন ও কর্মকর্তা-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে যাতায়াতে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় হেলিপ্যাড মেরামতের ব্যবস্থা করবে স্থানীয় প্রশাসন।

৪. প্রচার ও সচেতনতা কার্যক্রম: বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য মাধ্যমে আচরণবিধি, ভোটদান প্রক্রিয়াসহ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। নির্বাচন সময়সূচি ঘোষণার দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ একযোগে প্রচারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হবে। সংসদ বাংলাদেশ টিভি এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

৫. পর্যবেক্ষক নিয়োগে সহায়তা: দেশীয় ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি, নিরাপত্তা, ভিসা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

৬. ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনা: ঋণ খেলাপিরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহ, সংকলন ও সরবরাহের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এজন্য নির্বাচন সময়সূচি ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট দফতরে বিস্তারিত পত্র পাঠানো হবে।

৭. বাজেট বরাদ্দ ও ব্যয়: বর্তমান মূল্য ও বাস্তবতার ভিত্তিতে নির্বাচনি বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ যৌক্তিক করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয় নির্ধারণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

৮. জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট: নির্বাচন পরিচালনা ও কমিশনের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় জনবল, যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্ট এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

৯. শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

১০. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও আচরণবিধি প্রতিপালন: সময়সূচি ঘোষণার পর প্রতিটি এলাকায় আচরণবিধি নিশ্চিত ও অপরাধ রোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।

১১. পরীক্ষা সময়সূচি পর্যালোচনা: বিভিন্ন বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময় বিবেচনায় নিয়ে ভোটগ্রহণের তারিখসহ নির্বাচনের সময়সূচি প্রস্তাব করা হবে।

১২. আবহাওয়া পূর্বাভাস বিবেচনায় সময়সূচি: ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংগ্রহ করে সময়সূচি নির্ধারণে ব্যবহার করা হবে।

১৩. নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ: ভোটগ্রহণ থেকে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচন অফিসে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. স্বাস্থ্য সেবা: ভোটের দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জরুরি চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্ধারণ ও মেডিকেল টিম গঠন করতে হবে।

১৫. অগ্নিকাণ্ড ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: ভোটকেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট অফিসে অগ্নিকাণ্ড ও দুর্যোগ প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে প্রস্তুত রাখতে হবে।

১৬. নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী অপসারণ: সময়সূচি ঘোষণার পূর্বে বিদ্যমান পোস্টার-ব্যানার ও অননুমোদিত প্রচার সামগ্রী অপসারণে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

১৭. যানবাহন ও নৌযান নিয়ন্ত্রণ: ভোটের আগে-পরে মোটরসাইকেলসহ কিছু যান ও নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং চর ও পার্বত্য অঞ্চলে প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৮. পোস্টাল ভোটিং সুরক্ষা: প্রবাসী ও অভ্যন্তরীণ পোস্টাল ব্যালট নিরাপদ পরিবহন ও গণনায় ডাক বিভাগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

১৯. জেলখানায় ভোট প্রদান: জেলখানা/আইনী হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেল কর্তৃপক্ষ সহায়তা করবে।

২০. সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া তথ্য মোকাবিলা: এআইসহ প্রযুক্তি ব্যবহারে ভুয়া ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার রোধে কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।

২১. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের অন্তর্ঘাত ও নাশকতা রোধে সতর্ক থাকতে হবে এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।

২২. ভোটাররা যেন নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে এবং ফিরে আসতে পারে, সেজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ভোটার সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে সহযোগিতা, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিংসহ সার্ভিস সহজীকরণ, এবং নির্বাচন বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে সিভিক এডুকেশন কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি।

সভার প্রস্তাব ও সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছেন নির্বাচন কমিশন।

৩১ মন্ত্রণালয় ও সংস্থা থাকবে বৈঠকে

বৃহস্পতিবারের (৩০ অক্টোবর) অন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে ৩১ বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তারা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, সমন্বয় ও সংস্কার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।

আরও থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতারের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ঢাকার প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, কারা মহাপরিদর্শক।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এর আগে গত ২২ অক্টোবর সরকারের সাত বিভাগের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে ইসি। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

গত ৬ অক্টোবর কমিশন বিভিন্ন গণমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে দুটি পৃথক সংলাপ আয়োজন করে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।

এমএইচএইচ/এমআর