লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
শীত কেবল হিমেল বাতাসই নিয়ে আসে না, সঙ্গে নিয়ে আসে এক গুচ্ছ রোগ-বালাই। এসময় বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যা। এসময় ঠান্ডা লাগলেই অনেকের লাগাতার হাঁচি শুরু হয়। সঙ্গে থাকে সর্দি-কাশি। এছাড়াও চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়া, চোখ ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, চোখ-নাকের চারপাশে চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
মূলত রাইনাইটিস থাকলে এমনটা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে অনেকের ত্বকের অ্যালার্জিও হয়ে থাকে। দেখা দেয় ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোস্কা পড়ার মতো সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বলে।
অ্যালার্জি কোনোভাবেই এড়িয়ে চলার বিষয় নয়। যারা ভুক্তভোগী তারাই বোঝেন এটি কতটা মারাত্মক হতে পারে। ত্বকের অ্যালার্জি হলে তো তা সহজে বোঝা যায়। কিন্তু তা যদি হয় খাদ্যনালী, শ্বাসনালী বা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় তাহলে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। বিশেষ করে ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ হলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও অ্যালার্জির কারণ একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম, তাও কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
অ্যালার্জি থাকলে যেসব খাবার খাবেন না
ময়দার তৈরি খাবার
চিকিৎসকের মতে, ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। সেক্ষেত্রে কুকিজ, বিস্কুটও খাওয়া চলবে না। এসব খাবারে আছে গ্লুটেন নামক উপাদান যা এই ধরনের অ্যালার্জি বাড়িয়ে দিতে পারে। বেকারির যেকোনো খাবারও সমস্যা বাড়াতে পারে। কেক, পেস্ট্রি, পাউরুটি কম খান।
ঠান্ডা পানীয়
কোনোরকম ঠান্ডা পানীয় খাওয়া যাবে না। প্যাকেটজাত ফলের রসও খাওয়া চলবে না। এসব ঠান্ডা পানীয়তে এমন রাসায়নিক থাকে যা শরীরে গেলেই অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে।
বাদাম
বিভিন্ন ধরনের বাদাম অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াতে পারে। চিনাবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম, এমনকি কারো কারো ক্ষেত্রে কাঠবাদাম খেতেও মানা করেন চিকিৎসকরা।
এসব সবজি খাবেন না
সুস্থ থাকতে নানারকম সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থাকলে কিছু সবজি না খাওয়াই ভালো। এই যেমন বেগুন, ঢেঁড়স, মাশরুমের মতো সবজিগুলো অ্যালার্জি বাড়াতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা নিয়ে সচেতন থাকুন। ধুলাবালি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। বাইরে বের হলে মাস্ক পরুন। অতিরিক্ত হাঁচি হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এনএম