শিরোনাম পড়ে নিশ্চয়ই অনেকে ভাববেন, এমন আবার হয় নাকি। হাঁচিতে কিন্তু দুর্গন্ধ হয়। বেশিরভাগ সময় আমরা সেটি খেয়াল করি না। এই দুর্গন্ধের পেছনে দায়ী হতে পারে মারাত্মক কিছু রোগ।
হাঁচি হয় কেন?
বিজ্ঞাপন
প্রথমেই জানা দরকার হাঁচি হয় কেন? নাকের গহ্বরে হঠাৎ করে যদি জ্বালা, কাশি, সংক্রমণ, অ্যালার্জি সৃস্তিকারী বিরক্তিকর অ্যালার্জেন (যেমন পরাগ বা ধূলিকণা), পরিবেশ দূষণকারী বা জীবাণু যেমন ভাইরাস ইত্যাদি প্রবেশ করে, তখন তা হাঁচির মাধ্যমে বাতাসের সঙ্গে জোরে বেরিয়ে যায়। অন্যভাবে বলা যায়, শরীর যে জিনিসগুলো দূর করতে চায় তা হাঁচির মাধ্যমে বের করে দেয়।
বেশিরভাগ সময় হাঁচি সম্পূর্ণ নিরীহ এবং আমাদের নাক পরিষ্কার করার বা ‘রিসেট’ করার একটি প্রাকৃতিক উপায়। কিন্তু হাঁচিতে যদি দুর্গন্ধ হয়, তবে এই গন্ধের উৎপত্তি এবং এর অর্থ কী তা পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গন্ধযুক্ত হাঁচির কারণ হতে পারে মুখে দুর্গন্ধ, টনসিলে পাথর, সাইনোসাইটিস, ফ্যাস্টোসমিয়া এবং প্যারোসমিয়া, মুখের সংক্রমণ, নির্দিষ্ট কিছু খাবার। এই দুর্গন্ধেরও প্রকারভেদ রয়েছে। কখনও তা মিষ্টি, কখনও টক এবং বেশিরভাগ সময় অ্যামোনিয়ার মতো ঝাঁঝাল হয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইনাস গ্রন্থি থেকে নির্গত রস অনেক সময়ই আমাদের নাকের ছোট ছোট গহ্বরে থেকে যায়। এগুলো জমে শক্ত হয়ে নাকেই থেকে যায়। জোরে হাঁচির সময় সেগুলি বেরিয়ে আসতে পারে।
জোর হাঁচির সময় যখন সেই জমে যাওয়া শক্ত রস অত্যন্ত জোরে বেরিয়ে পড়ে তখন তা থেকে দুর্গন্ধ নির্গত হয়। এই গন্ধ যদি অতিরিক্ত বেশি মতে হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
সাইনাস গ্রন্থিতে সংক্রমণের কারণে যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে অবশ্যই এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে হবে। কেননা সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে খুব কষ্ট পেতে হয়।
হাঁচির দুর্গন্ধ দূর করার উপায়?
কীভাবে হাঁচির দুর্গন্ধ দূর করবেন তারও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। মাঝে মাঝে লবণ পানিতে নাক ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। দাঁত ও মুখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
এনএম