ওভারিতে সিস্ট: কী খাবেন, কী খাবেন না 

নারীদের একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)। অনিয়মিত মাসিক থেকে শুরু করে গর্ভাবস্থার সমস্যা, শরীরের বিভিন্ন অংশে চুল গজানোসহ নারীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। 

পিসিওএস সমস্যার পেছনে জিন, পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মতো বেশ কিছু কারণ দায়ী। কেন এই রোগ হয় তার সঠিক কারণ এখনও চিকিৎসকরা খুঁজে বের করতে পারেননি। এই রোগ আক্রান্ত নারীদের কার্বোহাইড্রেট ও চিনি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

ওভারিতে সিস্ট হলে কিছু খাবার বেশি খাওয়া উচিত। আবার কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। চলুন জেনে নিই পিসিওএস হলে কোন খাবার খাবেন আর কোনগুলো এড়িয়ে যাবেন- 

ওভারিতে সিস্ট থাকলে কী খাবেন? 

পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের খাদ্যতালিকায় হলুদ, আদা, রসুন, তুলসী এবং লাল মরিচের মতো ভেষজ ও মশলা রাখা উচিত। এসব খাবারের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি সিস্টের রোগীদের জন্য উপকারি। এছাড়াও, বাদাম, স্যামন এবং সার্ডিনের মতো খাবারগুলো খান। এগুলো ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা মেটায়। 

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার খান

খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান। ফল ও সবজিতে আছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। 

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস

বিকেলের নাশতায় ভাজাপোড়া খাওয়ার বদলে বাদাম, তাজা ফল, শাক-সবজির মতো পুষ্টিকর স্ন্যাকস খান। বাদাম পর্যাপ্ত পুষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত ক্ষুধার্ত বোধ করা থেকে বিরত রাখে। এতে ওভারিতে সিস্ট যেমন কমবে তেমনি সুস্থ থাকবেন। 

স্বাস্থ্যকর প্রোটিন

পিসিওএস এর সমস্যায় ভুগলে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। ডিম, ডাল, কুইনোয়া, ওটমিল ও মসুর ডাল স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের ভালো উৎস। 

ওভারিতে সিস্ট থাকলে কী খাবেন না? 

পিসিওএস এর জন্য সবচেয়ে খারাপ খাবার পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটগুলো। কারণ এসব খাবার ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে। তাই এসব খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি, কেক, পেস্ট্রি এড়িয়ে চলুন। সাদা ভাত যত কম খাবেন ততই মঙ্গল। 

ক্যান্ডি এবং আলু জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন। বেশি ভাজাভুজি খাবার না খাওয়াই মঙ্গল। মশলাদার খাবার বেশি খেলে এই সমস্যা বাড়তে পারে।

ওভারিতে সিস্ট থাকলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএম