মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে তিন প্যাকেট বেনসন সিগারেটের দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজদিখান থানায় এ ঘটনা ঘটে। থানায় জিডি করতে যাওয়া ওই যুবকের নাম মো. সালমান কবীর।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী যুবক মো. সালমান কবীর অভিযোগ করে বলেন, আমি গতকাল সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে পাসপোর্ট হারানোর জিডি করতে থানায় যাই। তখন এএসআই মাহফুজুর রহমান কি ভাবে হারিয়েছে জানতে চান। আমি বলি ঢাকার পল্টন থেকে বাসযোগে আসার সময় পাসপোর্ট হারিয়ে যায়। উনি বলেন, তাহলে পল্টন চলে যান এখানে হবে না। পরে জিডিটা করার জন্য তাকে রিকুয়েষ্ট করি। তখন তিনি বলেন, দোকানে গিয়ে ৩ প্যাকেট বেনসন সিগারেট কিনে নিয়ে আসেন। আর না হয় ৩ প্যাকেট বেনসনের টাকা দিয়ে যান জিডি নিয়ে যান। পরে থানার পুকুরের অপর পাশের একটি দোকানে গিয়ে ৩ প্যাকেট সিগারেটের দাম (১২ শত)টাকা দেই।
অভিযুক্ত সিরাজদিখান থানার এএসআই মাহফুজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি কথা না বোঝার বাহানায় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ব্যপারে এড়িয়া যান। পরক্ষনেই তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ফোন করে প্রতিবেদককে থানায় যেতে বলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ.ন.ম.ইমরান খানের কাছে থানায় জিডি বা অভিযোগ করতে কোন টাকা লাগে কিনা? এমন প্রশ্ন করলে তিনি জবাবে বলেন, থানায় কোন কাজ করাতে টাকা লাগে না। আপনার থানার এএসআই মাহফুজুর রহমান একটি জিডি এন্ট্রি করতে ৩ প্যাকেট সিগারেটের দাম নিলেন কেন? আসলে আমি ছুটিতে আছি। তা না হলে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮ টা পর্যন্ত সিরাজদিখান থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন এসআই রোজিনা। এরপর ডিউটি অফিসার পরিবর্তন হয়ে এএসআই মাহফুজুর রহমান ডিউটি অফিসারে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। এসআই রোজিনা ও এএসআই মাহফুজুর রহমান ডিউটি বদলের মাঝামাঝি সময় হওয়ায় যুবক মো. সালমান কবীরের জিটি এসআই রোজিনার নামে এন্ট্রি করেন এএসআই মাহফুজুর রহমান। কারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান বলেন, থানায় অভিযোগ বা জিডি করতে কোনো টাকা লাগে না। অভিযোগটি পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে