পৃথিবীতে যতগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তার মধ্যে ভূমিকম্প অন্যতম। এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও ব্যাপক। সম্প্রতি মিয়ানমার, থাইল্যান্ড থেকে বেশ কিছু থেকে শক্তিশালী ভূম্পিকম্প হয়েছে। এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানী ঘটেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও ব্যাপক।
ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে ১/২ মিনিট স্থায়ী হয়। তবে খুবই কমসংখ্যক কিছু ভূমিকম্প ৮-১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে, তা অনুভবও করা যায় না। কিন্তু শক্তিশালী ও বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং অসংখ্য প্রাণহানি ঘটে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের পূর্বাভাস আগে থেকে জানা সম্ভব?
বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প
এই পর্যন্ত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে শক্তিশালীটি ছিল ১৯১৮ সালের কম্পন। তখন সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
প্রাকৃতিকভাবেই কার্বন চক্রের প্রভাবে ভূমিকম্প হয়ে থাকে, বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হয় না। এদেশের ভেতরে ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বিগত প্রায় ২৫০ বছরের ভূমিকম্পের নথিভুক্ত তালিকা পাওয়া যায়। এ তালিকা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ১০০'রও বেশি ভূমিকম্প। এরমধ্যে ৬৫টিরও বেশি ঘটেছে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের পরে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিগত ৩০ বছরে (পরিপ্রেক্ষিত ২০০৪) ভূমিকম্প সংঘটনের মাত্রা বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্প কাকে বলে?
ভূ -অভ্যন্তরে শিলায় পীড়নের জন্যে যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সে শক্তি হঠাৎ মুক্তি পেলে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূ-ত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়; এইরূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। সাধারণত কম্পন-তরঙ্গ থেকে যেই শক্তির সৃষ্টি হয়, তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
আরও পড়ুন: হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হলে কী করবেন?
পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভূ-আন্দোলনের ফলে উৎপন্ন আকস্মিক শক্তি গুলির মধ্যে অন্যতম হল ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের ফলে ভূমিরূপের পরিবর্তন সাধিত হয়, সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয় ও মানুষের প্রানহানী ঘটে। সারা পৃথিবীব্যাপী প্রতিদিনই প্রায় অসংখ্য ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। যার মধ্যে আমরা সামান্য কিছু অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। এখানে ভূমিকম্প সম্পর্কীত যাবতীয় তথ্য সহজ সরল ভাবে তুলে ধরা হল।
ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্ট কোন কারণ বশত ভূপৃষ্ঠের কোন স্থান যদি ক্ষনিকের জন্য কেঁপে ওঠে, তখন তাকে ভূমিকম্প বলা হয়। অধ্যাপক স্ট্রেলারের মতে, ভূত্বকের উপরে বা নিচে শিলাস্তরের স্থিতিশীলতার বা অভিকর্ষীয় ভারসাম্যের বিঘ্ন ঘটার ফলে ভূপৃষ্ঠে সৃষ্ট আন্দোলনকে ভূমিকম্প বলে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
এজেড