পোশাক মানবজাতির একটি সহজাত প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলা পোশাকের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, ‘হে মানবজাতি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দোষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্যেরও উপকরণ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক— সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে। (সুরা আরাফ: ২৬)
ইসলামে শুধু পোশাক পরিধানের গুরুত্বই তুলে ধরা হয়নি, এ বিষয়ে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। মহানবী (স.) জানিয়েছেন কীভাবে পোশাক পরলে শালীনতা বজায় থাকে। একইসঙ্গে পোশাক পরার দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। আর নবীজির নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো কাজ করলে তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সুন্নতের অনুসরণেই মুক্তি
নতুন কাপড় পরার দোয়া: أُلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي، وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা উয়ারি বিহি আওরাতি ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতি।’ অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে কাপড় পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি লজ্জাস্থান ঢেকে রাখি এবং জীবনে সৌন্দর্য লাভ করি।’ আবু উমামা (রা.)-এর বর্ণনা থেকে বর্ণিত, ‘ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) নতুন কাপড় পরিধান করার সময় এই দোয়া পড়তেন।’ (তিরমিজি: ৩৫৬০)
পোশাক পরিধানের দোয়া পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরার সময় দোয়া পড়বে, আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়া ও পরকালে নিজের নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণে রাখবেন।’ (তিরমিজি: ২/২৩০)
আরও পড়ুন: যে দোয়া পড়লে দুনিয়া-আখেরাতে আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান
বিজ্ঞাপন
অতএব কাপড় পরিধানের দোয়া পড়া ফজিলতপূর্ণ আমল। আর মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য হলো তারা সুন্নত মোতাবেক চলে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘মুত্তাকিরাই আমার নিকটতম ব্যক্তি, তারা যে-ই হোক, যেখানেই থাকুক।’ (মুসনাদে আহমদ: ২২০৫২)
তাই পোশাক পরিধানের সময় পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নবীজির শিক্ষা অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

