ইতেকাফ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা, চিন্তার বিশুদ্ধতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতার অনন্য মাধ্যম। ফেরেশতাকুলের গুণাবলী অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায় এই ইতেকাফ। এজন্য রাসুল (স.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতেকাফ পালন করেছেন এবং তাঁর বিবিরাসহ সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমল করেছেন।’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা: ২/৪২)
২০ রমজান ইফতারের আগে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা হলো মাসনুন ইতেকাফ। হাদিসে এসেছে- ‘রাসুলুল্লাহ (স.) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রত্যেক রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করতেন। এরপর তাঁর পবিত্র স্ত্রীগণ ইতেকাফ করতেন’। (বুখারি: ১/২৭১)
বিজ্ঞাপন
হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘এক রমজানে কোনো কারণে তিনি (নবীজি) ইতেকাফ করতে পারেননি। তাই পরবর্তী বছর তিনি ২০ দিন ইতেকাফ করেছেন’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৬৮)। উম্মুল মুমিনিনি আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন এবং বলতেন- ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (বুখারি: ২০২০)
আরও পড়ুন: ইতেকাফ জাহান্নাম থেকে মুক্তির অনন্য আমল
রমজান মাসের শেষ দশক মসজিদে ইতেকাফ বা অবস্থান করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। অর্থাৎ এলাকা বা মহল্লার মসজিদে কেউ ইতেকাফে না বসলে সবার গুনাহ হবে। নিচে এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির জরুরি কিছু মাসয়ালা পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হলো।
১. বাসা থেকে মসজিদে খাবার আনার কেউ না থাকলে নিজে খাবার আনা জায়েজ
মসজিদে খাবার পৌঁছে দেওয়ার মতো কেউ না থাকলে খাবার আনার জন্য বাসায় গিয়ে নিজে খাবার নিয়ে আসা জায়েজ। এ কারণে ইতেকাফ ভাঙবে না। তবে খাবার আনার জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য কোনো কাজে বিলম্ব করা যাবে না। অন্য কাজে অল্প সময় ব্যয় করলেও ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে। অবশ্য ঘটনাক্রমে খাবার প্রস্তুত না হলে সেজন্য অপেক্ষা করা যাবে। (আলবাহরুর রায়েক: ২/৩০৩; আলমুহিতুল বুরহানি: ৩/৩৮০; তাবয়িনুল হাকায়েক: ২/২২৪)
বিজ্ঞাপন
২. পারিশ্রমিক দিয়ে ইতেকাফ করানো যাবে না
রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়াহ। যদি কোনো মসজিদে একজনও ইতেকাফে বসে, এলাকাবাসী সুন্নত তরকের গুনাহ থেকে বেঁচে যাবেন। আর যদি একজনও ইতেকাফ না করে তাহলে ওই এলাকার সকলেই গুনাহগার হবেন।
ইতেকাফ একটি ইবাদত, যা বিনিময়যোগ্য নয়। তাই ইতেকাফের জন্য পারিশ্রমিক নেওয়া জায়েজ নেই, পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ইতেকাফ করালে সেই ইতেকাফ সহিহ হয় না। অতএব এতে এলাকাবাসী দায়মুক্ত বা জিম্মামুক্ত হবেন না। (হেদায়া; ফাতহুল কাদির: ২/৩০৪; রদ্দুল মুহতার: ২/৪৪২; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/২৬৭; ইলাউস সুনান: ১৬/১৭২-৭৩)
আরও পড়ুন: শবে কদরের এত মর্যাদা কেন, ফজিলত কী?
৩. ইতেকাফরত অবস্থায় সালাম দেওয়া-নেওয়া ও কুশলাদির সঠিক বিধান
ইতেকাফরত ব্যক্তি পেশাব-পায়খানার জন্য মসজিদের বাইরে গেলে আসা-যাওয়ার পথে চলতে চলতে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবেন। তদ্রূপ এসময় পথ চলতে চলতে কারো সাথে অল্পস্বল্প কথাও বলা যাবে। তবে, তা হতে হবে পথ চলতে চলতে। এতে ইতেকাফের ক্ষতি হবে না। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইতেকাফ অবস্থায় চলতে চলতে রোগীর কুশলাদি জিজ্ঞেস করতেন। তবে এজন্য রাস্তায় দাঁড়াতেন না। (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৭২)
কারো সাথে কথা বলা বা কুশলাদি জিজ্ঞেস করার জন্য মসজিদের বাইরে অল্প সময় দাঁড়ানোও জায়েজ হবে না। (সহিহ মুসলিম: ২৯৭; মিরকাতুল মাফাতিহ: ৪/৫২৯; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/১২১)
৪. নাবালেগের ইতেকাফে এলাকাবাসী দায়িত্বমুক্ত হবে?
নাবালেগ যদি বুঝমান হয়, তার ইতেকাফ সহিহ। তবে ইতেকাফের মতো গুরুত্বপূর্ণ আমল প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.) তা গুরুত্বসহকারে আদায় করতেন। তাই এ ব্যাপারে উদাসীনতা ভালো নয়। (বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৭৪; আলবাহরুর রায়েক: ২/২৯৯; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/২১১; রদ্দুল মুখতার: ১/৫৭৭)
৫. ইতেকাফের জন্য কেমন মসজিদ জরুরি
পুরুষের ইতেকাফ সহিহ হওয়ার জন্য শরয়ি মসজিদ হওয়া জরুরি। অর্থাৎ যে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে অনুষ্ঠিত হয়। জামে মসজিদে ইতেকাফ উত্তম। কারণ জুমার জন্য অন্যত্র যেতে হবে না। কিন্তু জামে মসজিদে ইতেকাফ করা জরুরি নয়। (ফতোয়ায়ে শামি: ২/১২৯)
৬. ইতেকাফ ভেঙে ফেলতে হলে কাজা করার নিয়ম
ইতেকাফের মাঝখানে কেউ অসুস্থতা কিংবা যেকোনো বাধ্যগত কারণে ইতেকাফ ভেঙে ফেলতে হলে তাকে একদিনের ইতেকাফ কাজা করতে হবে। আর তা চাইলে পরবর্তী রমজানেও কাজা করতে পারবেন। এজন্য কোনো একদিন সূর্যাস্তের পর থেকে পরের দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত মসজিদে ইতেকাফ করবেন। অবশ্য রমজানের বাইরে ইতেকাফটি কাজা করতে চাইলে দিনের বেলা নফল রোজাও রাখতে হবে। (সূত্র: রদ্দুল মুখতার: ২/৪৪৪-৪৪৫; আহকামে ইতেকাফ: ৫০)
আরও পড়ুন: এই ৩ ধরনের সম্পদ ছাড়া অন্য কোনোকিছুতে জাকাত ফরজ নয়
৭. ইতেকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে
রমজান মাসের শেষ দশকের ইতেকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসলের জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েজ নেই। বের হলে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং ওই দিনের ইতেকাফ কাজা করে নেওয়া জরুরি। আর এই ইতেকাফটি নফল ইতেকাফ হিসাবে গণ্য হবে। (মারাকিল ফালাহ: ৩৮৩; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/২২৩; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/২৬৮; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১২)
৮. জানাজার নামাজে শরিক হওয়া যাবে?
সুন্নত ইতেকাফকারী জানাজার নামাজের জন্য মসজিদের বাইরে গেলে তার ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে। হাদিসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ইতেকাফকারীর নিয়ম হলো- অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবে না এবং (মসজিদের বাইরে) জানাজার নামাজে শরিক হবে না। (আবু দাউদ: ২৪৬৫)
ইতেকাফকারীর জন্য কোনো কারণে বাইরে অনুষ্ঠিত জানাজায় শরিক হওয়া আবশ্যক হলে তিনি যেতে পারবেন, তবে এ কারণে তার ওই দিনের ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে এবং সুন্নত ইতেকাফও থাকবে না। এক্ষেত্রে তাকে একদিন রোজা অবস্থায় ইতেকাফের কাজা করতে হবে। (আলমুহিতুল বুরহানি: ৩/৩৮০; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ১/২২২; রদ্দুল মুখতার: ২/৪৪৫; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২১২; আলমাবসুত, সারাখসি ১/১১৮)
৯. অসুস্থ ও বৃদ্ধরা রোজা ছাড়া ইতেকাফ করতে পারবেন?
না, এতে সুন্নত ইতেকাফ হবে না। তবে নফল ইতেকাফ হবে। কারণ সুন্নত ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। (সুনানে বায়হাকি: ৪/৩১৭; মুসতাদরাকে হাকেম: ২/৮১)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, ইতেকাফকারীর জন্য রোজা রাখা আবশ্যক। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৬/৩০০; ফতোয়া খানিয়া: ১/২২১; আহকামুল কুরআন, জাসসাস: ১/২৪৫; রদ্দুল মুখতার: ২/৪৪২)
আরও পড়ুন: বদলি রোজা নয়, ইসলামি বিধান ফিদিয়া
ইতেকাফের উদ্দেশ্য
দুনিয়াদারির ঝামেলা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হওয়া এবং বিনয় ও নম্রতায় নিজেকে আল্লাহর দরবারে সমর্পণ করা, বিশেষ করে লাইলাতুল কদরে ইবাদতের সুযোগ লাভ করাই ইতেকাফের অন্যতম উদ্দেশ্য। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আমি লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও এই মহিমা অনুসন্ধানে প্রথম ১০ দিন ও মাঝের ১০ দিন ইতেকাফ করেছি, অবশেষে আমার কাছে একজন ফেরেশতা এসে বলেছেন, তা শেষ দশকে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যারা ইতেকাফ করতে চায়, তারা যেন শেষ দশকে ইতেকাফ করে।’ অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম তাঁর সঙ্গে শেষ দশকে ইতেকাফ করলেন। (মুসলিম)
নারীর ইতেকাফ
নারীদের জন্য ইতেকাফ করা মোস্তাহাব। তাদের ইতেকাফ গৃহকোণে (নামাজের স্থানে) বাঞ্ছনীয়। নারীদের ইতেকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। স্বামী স্ত্রীকে ইতেকাফের অনুমতি দেওয়ার পর আর বাধা দিতে পারবেন না। বাধা দিলেও সে বাধা গ্রহণযোগ্য নয় এবং স্ত্রীর জন্য তা মানাও জরুরি নয়। (রদ্দুল মুখতার: ২/৪৪১; ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ১/২১১)
ইতেকাফ অবস্থায় রাতেও স্ত্রী-সহবাস করা যাবে না। করলে ইতেকাফ নষ্ট হয়ে যাবে। তদ্রূপ স্ত্রীকে চুম্বন, আলিঙ্গন ও উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করাও বৈধ নয়। যদি এসবের কারণে বীর্যপাত ঘটে, তাহলে ইতেকাফ ভেঙ্গে যাবে। (সুরা বাকারা: ১৮৭; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮৫, আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৫০; ফতোয়া আলমগিরি: ১/২১৩)
আরও পড়ুন: ঋতুবর্তীসহ ৬ শ্রেণির মানুষের রোজা না রাখার অনুমতি
ইতেকাফের শর্ত
মুসলমান হওয়া, পাগল না হওয়া, বালেগ হওয়া, নিয়ত করা, ফরজ গোসলসহ হায়েজ নেফাছ থেকে পবিত্র হওয়া, রোজা রাখা। পুরুষের জন্য মসজিদে ইতেকাফ করা।
ইতেকাফ অবস্থায় করণীয়
১. বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা, ২. কোরআন তেলাওয়াত করা, ৩. দ্বীনি আলোচনা করা ও শোনা, ৪. আল্লাহর জিকির করা, ৫. দোয়া করা, ৬. ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করা।
ইতেকাফ অবস্থায় বর্জনীয়
১. একেবারেই চুপচাপ বসে থাকা, ২. ঝগড়া-ঝাটি বা অনর্থক কথাবার্তা বলা, ৩. গীবত বা পরনিন্দা করা, ৪. মালপত্র মসজিদে এনে বেচা-কেনা করা।
যেসব কারণে ইতেকাফ ভেঙে যায়
১. ওজরবশত বের হয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিলম্ব করা, ২. বিনা ওজরে মসজিদের বাহিরে যাওয়া, ৩. স্ত্রী সহবাস করা, ৪. অসুস্থতা বা ভয়ের কারণে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া।
মহিলাদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতেকাফ করা সহিহ নয়। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতেকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২/২৭৪; ফতোয়া আলমগিরি: ১/২১১)
ইতেকাফের ফজিলত
ইতেকাফ অবস্থায় কেউ যদি রাতে ঘুমিয়েও থাকে, তবু তাকে ইবাদতকারীদের মধ্যে শামিল করা হবে। তখন শবেকদরের প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে ব্যয় করার ফজিলত অর্জন করবেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘ইতেকাফকারী গুনাহ থেকে মুক্ত থাকে। তার সব নেক আমল এমনভাবে লিপিবদ্ধ হতে থাকে, যেভাবে সে নিজে করত।’ (ইবনে মাজাহ) ইতেকাফের ফজিলত বর্ণনায় হাদিসে প্রিয়নবী (স.) ঘোষণা দেন- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এক দিন ইতেকাফ করবে আল্লাহ তায়ালা তার ও জাহান্নামের মাঝে তিন পরিখা পরিমাণ দূরত্ব সৃষ্টি করবেন; যার দূরত্ব দুই দিগন্তের দূরত্বের থেকে বেশি দূরত্ব হবে।’ (কানযুল উম্মাল: ২৪০১৯)
ইতেকাফকারী দুই হজ ও দুই ওমরার সাওয়াব পাবেন। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানে দশ দিন ইতেকাফ করবে তার আমল দুই হজ ও দুই ওমরার সমতুল্য’ (শুআবুল ইমান: ৩৬৮১; কানযুল উম্মাল: ২৪০০৬)
ইতিকাফে যেসব কাজ মাকরুহ
ইতিকাফে যেকোনো অপ্রয়োজনীয় কাজই মাকরুহ। যেমন—অনর্থক গল্প করা, বিনা প্রয়োজনে বেচাকেনা করা, মোবাইলে গেম খেলা, ফেসবুকে চ্যাট করা ইত্যাদি। একান্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বেচাকেনা করার অনুমতি আছে।
ব্যবসায়ী মালামাল মসজিদে নিয়ে আসা মাকরুহ। যদিও একান্ত প্রয়োজনে বেচাকেনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইতিকাফ অবস্থায় চুপ করে বসে থাকাও কোনো ইবাদত নয়। তাই ইবাদত মনে করে চুপ করে বসে থাকাও মাকরুহ। (আহকামে ইতিকাফ ফাজায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা ৬৫)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইতেকাফের যাবতীয় আমল সহিহশুদ্ধভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন এবং আল্লাহ সকল ইতেকাফকারীকে যথাযোগ্য মর্যাদা, অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা ও বিপুল সওয়াব দান করুন। আমিন।