বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ফিলিস্তিন নিয়ে কোরআন-হাদিসের অমূল্য বাণী

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

ফিলিস্তিন নিয়ে কোরআন-হাদিসের অমূল্য বাণী

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে মসজিদে আকসা ও সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ। এ বিষয়ে কোনো মাজহাবের এমনকি কোনো আলেমেরও দ্বিমত নেই। এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়; বরং সব মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের গুরুত্ব ও মর্যাদা নিয়ে অনেক বর্ণনা রয়েছে। নিচে এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো। 

১. ইসরা ও মিরাজের ভূমি
আল্লাহ তাআলা বলেন, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১)


বিজ্ঞাপন


জেরুজালেম হলো ইসরা বা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীর নামাজের ইমামতি করেন। তারপর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন। ফিলিস্তিন যদি মুসলমানদের জন্য গুরুত্বহীন হত, তাহলে আল্লাহ তার প্রিয়নবীকে মক্কা থেকেই সরাসরি ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করাতেন।

২. প্রথম কিবলা
ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা হলো মুসলিমদের প্রথম কিবলা। যার দিকে মুখ করে রাসুলুল্লাহ (স.) ও সাহাবিরা ১০ বছর নামাজ আদায় করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি যেখান থেকে বাহির হওনা কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাকো না কেন ওর দিকে মুখ ফিরাবে।’( সুরা বাকারা: ১৫০)

৩. পৃথিবীর দ্বিতীয় মসজিদ
ইতিহাসে প্রথম নির্মিত মসজিদ মজসিদুল হারাম হলেও এরপরের স্থানে আছে সুশোভিত প্রাচীনতম জেরুজালেম শহরে অবস্থিত মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ মসজিদে আকসা। এটা নিঃসন্দেহে ফিলিস্তিনবাসী মুসলমানদের জন্য বিশেষ সম্মানের বিষয়; অন্যান্য মুসলমানদেরও মূল্যবান ঠিকানা। আবু জর গিফারি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! দুনিয়াতে  প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে? তিনি বলেন, মসজিদুল হারাম। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? প্রতিউত্তরে তিনি বললেন, তারপর হলো মসজিদুল আকসা। অতঃপর আমি জানতে চাইলাম যে, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের? তিনি বললেন চল্লিশ বছরের ব্যবধান। (সহিহ বুখারি: ৩১১৫)

আরও পড়ুন: মসজিদুল আকসার জানা অজানা ইতিহাস


বিজ্ঞাপন


৪. বরকতময় ভূখণ্ড
পবিত্র কোরআনের ৫ স্থানে মহান আল্লাহ ফিলিস্তিনকে বরকতময়, পুণ্যময় ভূখণ্ড বলেছেন। 
এক. সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে। ‘যার আশপাশে আমি বরকত নাজিল করেছি।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১) 
দুই: সাইয়িদুনা ইবরাহিম (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনার সময়- ‘আর আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই ভূখণ্ডে, যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্য।’( সুরা আম্বিয়া: ৭১) 
তিন: মুসা (আ.)-এর ঘটনা বর্ণনায়, যখন ফেরাউনের কবল থেকে মুসা (আ.) ও বান ইসরাইলকে উদ্ধার করে আনা হয় এবং ফেরাউন ও তার সৈন্যদলকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে সম্প্রদায়কে দুর্বল মনে করা হত, তাদের আমি আমার কল্যাণপ্রাপ্ত রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিমের উত্তরাধিকারী করি এবং বনি ইসরাইল সম্বন্ধে আপনার প্রতিপালকের শুভ বাণী সত্যে পরিণত হলো, যেহেতু তারা ধৈর্যধারণ করেছিল। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
চার: সুলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়। মহান আল্লাহ তাকে রাজ্য দান করেছিলেন এবং সবকিছুকে তার অধীনস্থ করে দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর সুলায়মানের বশীভূত করে দিয়েছিলাম উদ্দাম বায়ুকে; সে তার আদেশক্রমে প্রবাহিত হত সেই ভূখণ্ডের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি; প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমিই সম্যক অবগত।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮১)
পাঁচ: সাবা-এর ঘটনায় আল্লাহ তাদের কীভাবে সুখ-শান্তিতে রেখেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ওদের ও যেসব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলাম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং ওইসব জনপদে ভ্রমণের যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম এবং ওদেরকে বলেছিলাম— ‘তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্রমণ কর দিনে ও রাতে।’ ( সুরা সাবা: ১৮)

আল্লামা মাহমুদ আলুসী তাফসিরে রুহুল মাআনিতে উল্লেখ করেছেন, এই জনপদ বলতে শামকে বুঝানো হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন, এ জনপদ হলো- বায়তুল মুকাদ্দাস। (রুহুল মাআনি: ২২/১২৯)
প্রাচীন শামদেশ (Levant) হলো— বর্তমান সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন ও ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন। 

৫. তৃতীয় সম্মানিত শহর ও ফজিলতপূর্ণ ভূমি
হাদিসের আলোকে প্রমাণিত যে তিনটি শহর সম্মানিত— মক্কা, মদিনা ও ফিলিস্তিন বা বায়তুল মুকাদ্দাস। সহিহ বুখারিও মুসলিমে হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘(ইবাদতের উদ্দেশ্যে) তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও ভ্রমণ করা যাবে না। মসজিদুল হারাম, আমার এই মসজিদ ও মসজিদুল আকসা।’ (মুসলিম: ৮২৭)
অন্য হাদিসে আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘মসজিদে হারামে এক রাকাত নামাজ এক লাখ নামাজের সমান। আমার মসজিদে (মসজিদে নববি) এক রাকাত নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বায়তুল মাকদাসে এক নামাজ পাঁচ শ নামাজের সমান।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ: ৪/১১)
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন সুলায়মান ইবনু দাউদ বায়তুল মাকদিসের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করলেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তিনটি বিষয়ের প্রার্থনা করলেন। তার মতো শাসনক্ষমতা এবং এমন রাজত্ব, যা তার পরে কাউকে প্রদান করা হবে না ও সালাত আদায়ের একনিষ্ঠ মনে উক্ত মসজিদে আগমনকারীর পাপ মোছন করে তার জন্মের দিনের মতো নিষ্পাপ করার প্রার্থনা করেছেন।’ নবীজি (স.) বললেন, ‘আল্লাহ তার আবেদনের ভিত্তিতে তাকে দুটি প্রদান করেছেন। তৃতীয়টিও কবুল করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’ (সুনানে ইবনু মাজাহ: ১৪৭৯)  
ইসলামে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হজ মুমিনদের জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল। তবে বিশেষ অবস্থার কারণে ফিলিস্তিনের হজযাত্রীদের জন্য নবীজি (স.) বিশেষ অফার ঘোষণা করেছেন। হজের নির্ধারিত সওয়াব তো থাকছেই, সাথে আছে আরও ফজিলত। উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদে হারামে হজ কিংবা ওমরা পালনে গমন করবে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে কিংবা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৪৭৯)

আরও পড়ুন
পবিত্র কাবাঘরের ইতিহাস
মসজিদে নববির ইতিহাস

৬. সত্যবাদী দলের অবস্থান
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের একটি দল সত্যের ওপর বিজয়ী থাকবে। শত্রুর মনে পরাক্রমশালী থাকবে। দুর্ভিক্ষ ছাড়া কোনো বিরোধী পক্ষ তাদের কিছুই করতে পারবে না। আল্লাহর আদেশ তথা কেয়ামত পর্যন্ত তারা এমনই থাকবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, তারা কোথায় থাকবেন? রাসুল (স.) বললেন, ‘তারা বায়তুল মাকদিস এবং তার আশপাশে থাকবেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ২১২৮৬)

৭. ফিলিস্তিন হাশরের ময়দান
মায়মুনা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (স.)-কে বললাম, “হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে কিছু বলুন!’ রাসুল (স.) বললেন, ‘বায়তুল মাকদিস হলো হাশরের ময়দান। পুনরুত্থানের জায়গা। তোমরা তাতে গিয়ে সালাত আদায় করো। কেননা, তাতে এক ওয়াক্ত সালাত আদায় করা অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাত আদায়ের সওয়ার পাওয়া যায়।’ তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসাতে গমনের শক্তি-সামর্থ্য রাখেন না তার ব্যাপারে আপনার কী অভিমত?’ তিনি বললেন, “সে যেন তার জন্য জ্বালানি তেল হাদিয়া হিসেবে প্রেরণ করে। কেননা যে বায়তুল মাকদিসের জন্য হাদিয়া প্রেরণ করে, সে তাতে নামাজ আদায়কারী ব্যক্তির মতো সওয়ার লাভ করবে।” (মুসনাদে আহমদ: ২৬৩৪৩)

৮. বীর-মহাবীরের দেশ ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনি জাতি মাটি কামড়ে লড়ে যাওয়া নিবেদিত লড়াকু হাজারো বীরের দেশ। ইতিহাসের মহাবীর সুলতান সালাহুদ্দিন আয়ুবি ও বাইবার্সের দেশ ফিলিস্তিন। এ পবিত্র ভূমিতে কেয়ামত অবধি মায়েদের কোল আলোকিত করে জন্ম নেবে— হাজারো রথী-মহারথী ও বীরপুরুষ। মুজাহিদরা কেয়ামত পর্যন্ত নিবেদিত থাকবেন— ফিলিস্তিনের মাটিতে। এ প্রসঙ্গে উমামা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন- ‘আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর বিজয়ী থাকেবে, শত্রুর মনে পরাক্রমশালী থাকবে, দুর্ভিক্ষ ব্যতীত অন্যকোনো বিরোধী পক্ষ তাদের কিছুই করতে পারবে না; আল্লাহর আদেশ তথা কেয়মত পর্যন্ত তারা এমনই থাকবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কোথায়? রাসুল (স.) বললেন, ‘তারা বায়তুল মাকদিস এবং তার আশেপাশে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২১২৮৬)

৯. আল্লাহর পছন্দনীয় ভূমি
পৃথিবীতে মক্কা মদিনার পরে আল্লাহর পছন্দনীয় ভূমি হলো ফিলিস্তিন। এছাড়াও তার আরো অনেক প্রিয় স্থান সম্পর্কে আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি। ইবনে হাওয়ালা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘ইসলামি বাহিনী শিগগিরই কয়েকটি দলে দলবদ্ধ হবে। একটি দল শামে, একটি ইয়েমেনে ও অন্য একটি ইরাকে। ইবনে হাওয়ালা (রা.) জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি সে যুগ পাই, তখন আমি কোন দলটিতে যোগদান করব, তা বলে দিন। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তুমি শামের বাহিনীতে থাকবে, কেননা তা আল্লাহর পছন্দনীয় ভূমির একটি, সেখানে তিনি তাঁর সর্বোৎকৃষ্ট বান্দাদের একত্র করবেন। আর যদি তুমি তাতে যোগদান না করো, তাহলে তুমি ইয়েমেনের বাহিনীকে গ্রহণ করো, আর তোমরা শামের কূপ থেকে পানি গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহ আমার জন্য—অর্থাৎ আমার উম্মতের জন্য শাম ভূখণ্ড ও তার বাসিন্দাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।’ (আবু দাউদ: ২৪৮৩)

আরও পড়ুন: সিরিয়া সম্পর্কে মহানবী (স.)-এর ভবিষ্যদ্বাণী 

১০. শেষকালের হিজরতভূমি
নববী জীবনের ত্রয়োদশতম বছরে সংঘটিত হলো মক্কা থেকে মদিনার হিজরত। এরপর পৃথিবীতে সংঘটিত হবে মহা হিজরত। আর সে হিজরত হবে ইবরাহিম (আ.)-এর হিজরতভূমির দিকে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি যে, অদূর ভবিষ্যতে এক হিজরতের পর আরেকটি হিজরত সংঘটিত হবে। তখন উত্তম মানুষ তারাই হবে, যারা ওই জায়গায় হিজরত করবে, যে জায়গায় হযরত ইবরাহিম (আ.) হিজরত করেছিলেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে— এ ধরাপৃষ্ঠে তারাই সর্বোত্তম যারা ইবরাহিম (আ.)-এর হিজরতের স্থানকে নিজেদের হিজরতস্থল বানাবে। এ সময় কেবল মন্দ লোকেরাই অবশিষ্ট থাকবে। তাদের দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হবে। আল্লাহ তাআলা তাদের ঘৃণা করবেন। অতঃপর একটি আগুন তাদেরকে বানর ও শুকরের দলসহ হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে। তারা যেখানে রাতযাপন করবে, আগুনও সেখানে রাত কাটাবে। আর যেখানে তারা দ্বিপ্রহরের বিশ্রাম করবে, আগুনও সেখানে বিশ্রাম করবে। (সুনানে আবু দাউদ: ২১২৩)  

এসব কারণে ফিলিস্তিন মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ ভূখণ্ড। ফিলিস্তিনকে ভালোবাসা এবং মসজিদুল আকসার সংরক্ষণ ও পবিত্রতা রক্ষায় তাদের পাশে থাকা ঈমানের দাবি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর