উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্যদিয়ে কানাডার টরেন্টোতে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩১।
তুষার আবৃত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে প্রবাসী বাঙালিরা সারাদিন আনন্দ-উৎসবে মেতেছিল অন্যরকম এক মিলনমেলায়।
বিজ্ঞাপন
টরেন্টোর বাঙালি অধ্যুষিত ডেন্টোনিয়া পার্কে বৈশাখের রঙ, ভালোবাসার রঙ, আড্ডার রঙ, লোকজ ভাবনা, বাংলার ঐতিহ্য ও আনুষ্ঠানিকতায় মন ভরে উঠেছিল প্রবাসী জীবনের আনন্দ জয়গানে।
শিশু-কিশোর আর নারী-পুরুষের পদভারে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল ডেন্টোনিয়া পার্ক। নবপ্রজন্মের কাছে আবহমান বাংলার কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জাতীয় সত্তা তুলে ধরাই ছিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের মূল লক্ষ্য।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশের চারুকলার আদলে আর্ট কোয়েস্টের নন্দনিক মুখোশ, মুকুটের মঙ্গল শোভাযাত্রা এক অন্য মাত্রার সংযোজন করেছিল।
শত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’ গেয়ে আয়োজন শুরু হয়। মেলায় ছিল রং-বেরংয়ের বাহারি শাড়ি, বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলিসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের স্টল। মূল আকর্ষণ ছিল ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের মুখোশ নিয়ে মঙ্গলশোভা যাত্রা।
বিজ্ঞাপন
সারাদিনব্যাপী প্রাণের মেলায় পদ্মা-যমুনা মিলনের মতোই প্রবাসী বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশিরাও যোগ দেন। আনন্দের আবহে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত বাঙালির চিরাচরিত আড্ডা, গানের সুর, কবিতার ছন্দ ও নাচের মুদ্রায় মুখরিত ছিল।
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মেরী রাশেদীন বলেন, সব দুঃখের স্মৃতি ভুলিয়ে নতুন নতুন আনন্দে ভরা স্মৃতি তৈরি করার সময় চলে এসেছে। তাই পহেলা বৈশাখের এই শুভ দিনটিকে আমরা পরিবারে সঙ্গে, বাংলা কমিউনিটির সঙ্গে উপভোগ করছি।
আর্ট কোয়েস্টের সোনিয়া জাহান বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনে সকল পেশার নাগরিকদের উপস্থিতি আমাদের আয়োজনকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই আমার ও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগত এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা।
দূরপ্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির এই উৎসব যেন এক মহামিলন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সম্প্রীতির বন্ধনে এমনি করে বারবার মহামিলনে জেগে উঠুক নতুন প্রজন্ম– এমনটাই প্রত্যাশা কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।