সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

‘ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৮:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, শিক্ষা যেকোনো জাতির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ চর্চার কথা নতুন শিক্ষাক্রমে বারবার উল্লেখ করা হলেও ইসলামী শিক্ষাকে সামষ্টিক মূল্যায়নে ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে বাদ দিয়ে মানবিক বিভাগে ঐচ্ছিক রেখে কৌশলে সংকুচিত করা হয়েছে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নীতি নৈতিকতাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রজন্ম হিসেবে গড়ে ওঠার দ্বার উন্মোচিত হবে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৯১ সালের ২৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চর্চা করছে। ছাত্ররাজনীতির নামে চলমান মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের প্রচলিত সংস্কৃতির বাইরে নৈতিকতা সমৃদ্ধ মেধাবী প্রজন্ম তৈরিতে কাজ করছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। এতে দেশবাসী ও অভিভাবকরা সন্তুষ্ট।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের তীব্র আপত্তি ও ইভিএমে অনাস্থা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে মতামত দিলেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের মতামতকে আমলে নেয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে মতামত নেওয়ার পর তাদেরকে আশ্বস্ত করে এখন ধোঁকা দিচ্ছে সিইসি। সিইসির এমন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসানোর অপকৌশল। 

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করলেও এখনো আমরা শিক্ষার সংকট থেকে বের হতে পারিনি। বিজ্ঞানভিত্তিক, কর্মমুখী ও সর্বজনীন ইসলামী শিক্ষা কাঠামো প্রণয়নের জন্য আমাদেরকে রাজপথে নামতে হচ্ছে। দেশের উন্নতির জন্য ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ড সুবিধা ব্যবহারে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যেখানে দেশের শিক্ষিত কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে সরকারগুলো বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেখানে কারিগরি শিক্ষার সংকোচন নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
  
সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ থেকে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দু’দিন ছুটির বিষয়টি পুণঃর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।


বিজ্ঞাপন


টিএই/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন