শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকা-৪: বিএনপির রবিনের বিপরীতে আট দলের কে?

মহিউদ্দিন রাব্বানি
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

Dhaka-4
এলাকায় সক্রিয় বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন। ছবি কোলাজ: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের। জাতীয় পার্টিও রয়েছে কোণঠাসা অবস্থায়। ফলে ঢাকা-৪ আসনে নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় বিএনপি ও জামায়াত। পিছিয়ে নেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও। এই তিন দলের প্রার্থীরা নিয়মিত গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন। এই আসনে এবার বিএনপির ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে লড়বেন তিন বারের সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ প্রথম বারের মতো ভোটে লড়ছেন। তবে বাবার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি শক্ত অবস্থান গড়ে তুলছেন।  


বিজ্ঞাপন


এদিকে জামায়াতে ইসলামীর দাঁড়িপাল্লার টিকিট পেয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য এবং শ্যামপুর জামায়াতের সাবেক আমির সৈয়দ জয়নুল আবেদীন। পেশায় তিনি একজন ব্যাংকার। নিয়মিত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।

আরও পড়ুন

ঢাকা-৫: আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি, স্বপ্ন দেখছে জামায়াতও

এছাড়া এই আসনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে আসছেন অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য। চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষও। পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের পর তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের বড়ভাই।

৮ দলীয় জোটের প্রার্থী কে?

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল নিয়ে গঠিত নির্বাচনি মোর্চা কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তাদের মধ্যে নির্বাচনি সমঝোতার আলোচনাও চলছে। সমঝোতা হলে এই আসনে দাঁড়িপাল্লা বা হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে যেকোনো একজন প্রার্থীর কপাল পুড়তে পারে। আসনটিতে জামায়াতের শক্ত অবস্থান থাকায় তৃণমূলের কর্মীরা ছাড় দিতে নারাজ। তবে একটি সূত্র জোটগতভাবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

Robin
প্রচারে ব্যস্ত বিএনপি প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত

সূত্রটি আরও জানায়, জামায়াতের প্রার্থী জয়নুল আবেদীনের রাজনৈতিক মাঠে পরিচিতি কম। তার বিপরীতে ইসলামী আন্দোলনের মোসাদ্দেক বিল্লাহ দলটি কেন্দ্রীয় নেতা। ফলে জামায়াত শরিক দলটিকে ঢাকা-৪ আসন ছাড় দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।

প্রচারে ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিয়মিত গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

ধানের শীষের সমর্থনে প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করছেন সাবেক তানভীন আহমেদ। বিএনপির ভোট একচেটিয়াভাবে তিনি পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু ভোট ধানের শীষের বাক্সে ঢুকবে- এমনটি দাবি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের। বাবার রাজনৈতিক পরিচয় ও অবস্থান অনুযায়ী শ্যামপুর ও নাম-শ্যামপুরে তানভীর আহমেদ রবিনের ভোট বেশি।

গণসংযোগে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করছেন তিনি। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন। বাবার সম্মান ও পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষার অগ্নিপরীক্ষায় পড়েছেন বিএনপির এই নেতা। তিনি মনে করছেন, জনগণ তার পাশে থাকলে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া কষ্টকর হবে না।

বিএনপির কর্মী সাইদুল আলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘রবিন ভাই এখন আর শুধু একজন রাজনৈতিক উত্তরসূরি নন, বরং নিজস্ব যোগ্যতায় তিনি হয়ে উঠেছেন ভবিষ্যৎ রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। বিএনপির সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের সন্তান হিসেবে পারিবারিক ঐতিহ্য নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও আজ তিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন আলাদা একটি পরিচয়। তারুণ্য, দৃঢ়তা ও নেতৃত্বগুণে সমৃদ্ধ তানভীর আহমেদ রবিন বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। গত দেড় দশক ধরে আওয়ামী লীগের দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মুখেও তিনি থেকেছেন রাজপথে সক্রিয়। তারেক রহমানের আস্থাভাজন এই নেতা মাঠ পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি পুনর্গঠনে রাখছেন নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা। নিয়মিত আমাদের টিম মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আশাবাদী, তিনি এই আসন থেকে বিপুল ভোটে জয় লাগবে করবেন।’

আরও পড়ুন

ঢাকা-১১ আসনে কাইয়ুম-আতিকের লড়াই, নাহিদ এলে পাল্টে যাবে হিসাব

স্থানীয় ভোটার বেসরকারি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন। যারা আমাদের কাছে সততার প্রমাণ দিতে পারবে আমরা তাকেই নির্বাচিত করব। আমরা চাই সৎ, যোগ্য নেতৃত্ব। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। আমরা শান্তি চাই। দেশে আর অরাজকতা দেখতে চাই না। গুম, খুনের রাজনীতি বন্ধ হোক। জননিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই।’

Jamat
শক্ত অবস্থান রয়েছে জামায়াতেরও। ছবি: সংগৃহীত

ধানের শীষের টিকিট পাওয়া বিএনপির প্রার্থী তানভীর আহমেদ রবিন নানা অঙ্গীকার নিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-৪ আসনের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তারা শান্তি এবং নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা চান। আমি তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ-জলাবদ্ধতা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সুবিধর উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবো। মানুষ পরিবর্তন চায়। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সেবা করার সুযোগটুকু চাই। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। সংসদে জনগণের অভাব অভিযোগ উত্থাপন করবো।’

এদিকে জামায়াত প্রার্থী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন নিয়ম করে মাঠে নামছেন। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতস্ফূর্ত সাড়া আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। ঢাকা-৪ আসনের খেদমতের জন্য নির্বাচিত হলে আশা করি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। প্রচারে গেলে ভোটাররা বলেন, আগে অনেকেই বিভিন্ন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন, এবার দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট দেবেন। আমরা যেখানেই গিয়েছি সেখানেই মানুষের আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। কোথাও কোনো নাগরিক বা ভোটার বলেননি যে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবেন না।’

জয়নাল আবদীন বলেন, ‘আমাদের এই ময়দান শহীদের ময়দান। এখানে রক্ত ঝরেছে, জীবন দিয়েছে আমাদের কর্মীরা। শ্যামপুর দনিয়া, কদমতলী এলাকা জামায়াতের শক্তিশালী ঘাঁটি। বড় একটা ভোটব্যাংক আছে।’

আরও পড়ুন

ঢাকা-১৭: সমীকরণ বদলে দেবে এলিট ও বস্তির ভোট

স্থানীয় ভোটার আব্দুর রহিম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এলাকায় বিএনপি এবং জামায়াতের প্রচারণা চলছে। অন্যান্য পার্টির প্রচার এখনো তেমন দৃশ্যমান নয়। তবে প্রার্থীদের প্রচারে সাধারণ মানুষের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ তারা যখন গণসংযোগ করেন রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। এছাড়া যত্রতত্র পোস্টার ফেস্টুন লাগিয়ে নগরের সৌন্দর্য বিনষ্ট করছেন।’

এই ভোটার আরও বলেন, ‘আমরা চাই সৎ যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক। সেটা যে দলেরই হোক না কেন।’

৫২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিএনপি কর্মী সামিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় জামায়াতের কোনো প্রার্থীর প্রচারণা দেখছি না। পুরো এলাকায় বিএনপির ভালো অবস্থান রয়েছে। আশা করি রবিন ভাই এই আসন থেকে পাস করবেন।’

তবে স্থানীয় জামায়াত নেতা আব্দুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে নিয়মিত গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময়া সভা করছি। প্রতিদিন আমরা জনগণের অসাধারণ সাড়া পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন বেশির ভাগ চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী। ফলে শুক্রবার-শনিবার কর্মীরা বেশি প্রচারকাজ করছেন।

জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থান ভালো হলেও এই আসনে ভাসমান ভোটার বেশি। এখানে অনেক ভাড়াটিয়া ভোটার হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেল তিনি অন্যত্র চলে গেছেন। একটি ওয়ার্ডে এমন সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। যার জন্য এদিকে এই সংখ্যার ভোট অনিশ্চিত।’

Chormonai1
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী পেতে পারেন আট দলের সমর্থন। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় জামায়াত নেতা হাফেজ তারিকুল ইসলাম তারেক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আসনের কিছু কিছু এলাকায় বিএনপির অবস্থান ভালো। কিছু কিছু এলাকায় জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। শ্যামপুর ও নামা-শ্যামপুর এলাকায় বিএনপি প্রার্থী রবিনের অবস্থা ভালো। দনিয়া, জুরাইনে আবার জামায়াতের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।’

৮ দলীয় জোট যদি বিকল্প প্রার্থী ঘোষণা করে সেক্ষেত্রে জামায়াতের অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জোট যাকে মনোনীত করবে আমরা তার পক্ষে কাজ করব।’ এবার ইসলামপন্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সংসদ গঠন করবে বলে আশাবাদী তিনি।

এদিকে ইসলামি ৮ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকের অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী নিজ দলের পক্ষে গণসংযোগ করছেন। তবে একটি সূত্র জানায়, ইসলামি দলগুলোর আট দলে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে জামায়াত ঢাকা-৪ আসনটিতে ছাড় দেবে। আগেও যেহেতু নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আছে এজন্য হাতপাখার প্রার্থী মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।

আরও পড়ুন

ঢাকা-২: আমানেই আস্থা, বিএনপিতে আছে বঞ্চনাও

মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এবার সব জায়গায় রব উঠেছে পরিবর্তন চাই। সাধারণ মানুষ ধান, নৌকা, লাঙ্গলসহ অন্যান্য প্রার্থীদের দেখেছেন। এবার বিকল্প কিছু দেখতে চান। ভোটাররা ইনসাফ ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে চান। সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে তারা বেছে নেবেন ভোটাররা। তারা আর চাঁদাবাজ সন্ত্রাস লুটপাট ধর্ষণ গুম খুন দেখতে চায় না। এবার ইসলামের বিজয় হবে। আমি আশাবাদী ইসলামি জোট আমাকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করবে।’

২০১৮ সালের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘সে সময় রাতের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে অবৈধ হাসিনা সরকার। সে সময় আমরা দুই ঘণ্টা সময় পেয়েছিলাম, তারপর কেন্দ্র দখল। তারপরও ভালো ভোট পেয়েছিলাম। এবার আমরা আশাবাদী আবার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিজয় ইনশাআল্লাহ ছিনিয়ে আনতে পারব।’

এছাড়া আসনটিতে নাগরিক অধিকার কর্মী এবং সমাজকর্মী মিজানুর রহমান মিজান এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে আন্দোলনের জন্য পরিচিত। তিনি জুরাইনের বিশুদ্ধ পানি এবং জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন, যার জন্য তিনি গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন।

এমআর/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর