শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঢাকা-১৭: সমীকরণ বদলে দেবে এলিট ও বস্তির ভোট

সাখাওয়াত হোসাইন
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

dhaka
আন্দালিব রহমান পার্থ ও ডা. খালিদুজ্জামানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
  • পার্থকে তাকিয়ে থাকতে হবে বিএনপির দিকে
  • আঁটঘাট বেঁধে নেমেছেন জামায়াত প্রার্থী
  • হিরো আলমের প্রার্থিতা আলোচনার জন্ম দেবে
  • বিএনপিরও একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী

রাজধানী ঢাকার আসনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনটি। এটি গুলশান, বনানী, নিকেতন, মহাখালী, বারিধারা, শাহজাদপুর এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে গঠিত। অভিজাত ও বিত্তবানদের সংসদীয় আসন হিসেবে সারাদেশের মানুষের নজর থাকে এই আসনের দিকে।


বিজ্ঞাপন


আসনটিতে একদিকে সমাজের সবচেয়ে অভিজাত মানুষের বসবাস যেমন আছে তেমনি অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সংখ্যাও বিপুল। কারণ ঢাকার কয়েকটি বৃহৎ বস্তি এই আসনের অন্তর্গত। সেগুলো হলো করাইল, সাততলা ও ভাসানটেক বস্তি। এই আসনে মোটামুটি ৭৫ হাজারের মতো হবে এলিট শ্রেণির ভোটার। বাকি সব বস্তিবাসী, দরিদ্র ও হতদরিদ্র ভোটার। এজন্য এই আসনে এলিট শ্রেণি ও বস্তিবাসীর ভোট ঘিরে চলে সমীকরণ। এবারের নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হবে না। উভয় শ্রেণির ভোট যে প্রার্থী বেশি টানতে পারবেন তিনিই হাসবেন বিজয়ের হাসি।

ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। এরই মধ্যে তিনি নিজের দলের প্রতীক গরুর গাড়ি মার্কা নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দাঁড়িপাল্লা নিয়ে লড়বেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। বিএনপি এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এই আসনটি আন্দালিব রহমান পার্থকে ছেড়ে দেবে বলে জোর আলোচনা রয়েছে। বিএনপি সমর্থন দিলে এই আসনে আন্দালিব রহমান পার্থ ও ডা. খালিদুজ্জামানের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা কররা হচ্ছে। যদিও দুইজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। তিনি আগেও এই আসনে নির্বাচন করেছেন।

এদিকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণার আগেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। চলছে প্রচারণা, উঠান বৈঠক আর জনসংযোগ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরেও প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন

ঢাকা-১০: দল নয়, যোগ্য ও পরিচিত মুখে আস্থা রাখতে চান ভোটাররা

ঢাকা-১৭ আসনের মধ্যে দেশের অন্যতম আলোচিত সরকারি তিতুমীর কলেজ। ইতোমধ্যে এই কলেজে গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। সেখানে তাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অভ্যর্থনা জানান। এই সময় তিতুমীর কলেজ নিয়ে পার্থ বলেন, ‘বারবার বলে আমি তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় চাই। আমি তোমাদের দাবির সঙ্গে একমত নই, তোমাদের দাবি হবে তিতুমীর বেস্ট (সেরা) বিশ্ববিদ্যালয় চাই।’

স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ বলছে, অঘোষিতভাবে এই আসনে বিএনপির পাবে সমর্থন পাবেন আন্দালিব রহমান পার্থ। বিএনপির সঙ্গে জোট করে ওই আসনে প্রার্থী হবেন তিনি। এরই মধ্যে দলের হাইকমান্ড থেকে অঘোষিতভাবে তাকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনি জোট করলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোটে অংশ নিতে হবে— ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য পার্থ তার দলের প্রতীক নিয়েই প্রচার চালাচ্ছেন।

পার্থর নেই নিজস্ব ভোটব্যাংক

সারাদেশে তরুণ ও ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি ২০০৮ সালে ভোলার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন সংসদে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ঢাকা-১৭ আসনে তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী ছিলেন। তবে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দাপটের সামনে অন্যদের মতো তিনিও দাঁড়াতে পারেননি।

Parth1
প্রচার চালাচ্ছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। ছবি: সংগৃহীত

এই আসনে আন্দালিব রহমান পার্থের নিজ দলের কোনো ভোটব্যাংক নেই। ফলে শরিক দল হিসেবে জয় পেতে হলে তাকিয়ে থাকতে হবে বিএনপির ভোটব্যাংক ও সমর্থক গোষ্ঠীর দিকে। বিএনপির শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় শেষ পর্যন্ত দলটির নেতাকর্মীরা পার্থকেই সহযোগিতা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপি পাশে দাঁড়ালে তার পক্ষে নির্বাচনি বৈতরণী পার হয়ে আসা সহজ হবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।  

ঢাকা-১৭ আসনে অনেক বছর ধরেই কাজ করছেন আন্দালিব রহমান পার্থ। তার বাসাও এই আসনেই অবস্থিত। এই আসনের ভোটারদের কাছে তিনি আগে থেকেই চেনা মুখ। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মিছিল, উঠান বৈঠকসহ নানা মাধ্যমে মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।

আঁটঘাট বেঁধে নেমেছেন জামায়াতের প্রার্থীও

ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত প্রার্থী করেছে ডা. এস এম খালিদুজ্জামানকে। তাকে ঘিরে জামায়াত বিজয়দের স্বপ্ন দেখছে। যদিও এই আসনে জামায়াতের তেমন কোনো ভোটব্যাংক নেই। তবে সমর্থক গোষ্ঠী আছে। তারা দিন-রাত কাজ করছেন দলীয় প্রার্থীর পক্ষে। প্রার্থী নিজেও অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন। একইসঙ্গে নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এবং ভ্যানগাড়ি, ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নগদ অর্থ বিতরণ করছেন।

আরও পড়ুন

ঢাকা-৫: আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি, স্বপ্ন দেখছে জামায়াতও

ডা. খালিদুজ্জামান বলেন, নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৭ আসনকে স্বাস্থ্য সেক্টরের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য খাতে সব থেকে বেশি অবহেলিত। কড়াইল, সাততলা ও ভাসানটেক বস্তি এলাকার মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করে। এলাকার মানুষকে নিয়ে বিগত কোনো সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। সকল রাজনৈতিক দল এই এলাকার মানুষকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গিয়েছে। কিন্তু মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যদি আগামীতে এ আসনে নির্বাচিত হই, তাহলে মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে এলাকায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গঠন করা হবে। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

আবার আলোচনায় হিরো আলম

২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনে সংসদ নির্বাচন করে রাজনীতিতে প্রথম আলোচনায় আসেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। পরে বগুড়া-৪ ও ৬ আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে যান। ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতের বিরুদ্ধে লড়াই করে দ্বিতীয় হন।

একই আসন থেকে এবার শক্তিশালী প্রার্থী বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ ও জামায়াতের ডা. এসএম খালিদুজ্জামানের মতো প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। কোনো দলের টিকিট না পেলে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমার কাছে শুধু জয়ের বিষয় নয়, এটা একটা প্রতিবাদের মাধ্যমও। আগে যেমন প্রতিবাদ করেছি, এবারও করবো। দেশে এখন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এটা সবার প্রত্যাশা। আমিও তাই চাই। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে। সেজন্যই নির্বাচন করবো। আমি ১০০ ভোট পেলেও কোনো সমস্যা নাই। নির্বাচন হোক, সুষ্ঠুভাবে হোক। মানুষ উৎসব করে ভোট দিতে আসুক।’

Hero
প্রাথী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম। ছবি: সংগৃহীত

হিরো আলম বলেন, ‘অনেক দলের প্রধানের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। দলগুলো যেসব প্রস্তাব দিচ্ছে সেগুলো আমি মানতে পারবো কি না সেটা ভেবে দেখছি। ব্যাটে-বলে মিললে কোনো দলে যাবো। নইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো।’

বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চান

ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন পেতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপির একাধিক নেতা। ইতোমধ্যে নানা মাধ্যমে তারা জানান দিয়েছেন। বিএনপির দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় মনোনয়প্রত্যাশী বেশ কয়েকজনের ছবি সম্বলিত পোস্টার-ব্যানার দেখা যায়। তাদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল জামান মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসাইনের ব্যানার-পোস্টার চোখে পড়ে বেশি। বিএনপি নেতা মাহমুদুল আলম সোহাগ ও গোলাম মাওলাও চেষ্টা চালাচ্ছেন মনোনয়ন পাওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন

ঢাকা-১১ আসনে কাইয়ুম-আতিকের লড়াই, নাহিদ এলে পাল্টে যাবে হিসাব

এছাড়া গুলশান বিএনপির প্রবীণ নেতা খায়রুদ্দিন আলমও দলীয় প্রার্থী হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। মনোনয়ন নিয়ে খায়রুদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনটি রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, বাণিজ্যিক অফিস রয়েছে। এই এলাকা থেকে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। তবে যতুটুকু জানতে পেরেছি, এ আসনটি হয়ত বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজনীতির কোন খেলার অংশ হিসেবে ছাড়া হবে, তা পরিষ্কার নয়।’

মনোনয়নের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসাইন বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দল এখনো এককভাবে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাকে মনোনয়ন দেবেন, আমরা তার হয়ে কাজ করবো।’

মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহমুদুল আলম সোহাগ বলছেন, ‘ঢাকা-১৭ শুধু উচ্চবিত্তের এলাকা নয়, এখানে শ্রমজীবী মানুষের জীবনও আছে। সবার অধিকার নিশ্চিত করাই হবে আমার অঙ্গীকার।’

ভোট নিয়ে এলাকাবাসীর ভাবনা

রাজধানীর গুলশান বস্তির বাসিন্দা শরিফ মিয়া। বর্তমানে তিনি ঢাকার অলিগলিতে রিকশা চালান। ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা হয় এই ভোটারের। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে বস্তিবাসী অবহেলিত। নানা সুযোগ-সুবিধা বস্তিতে নেই। এছাড়া নানা অঘটনও ঘটে থাকে। বস্তির মানুষ স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত।’

Jamat
মাঠে সরব জামায়াত প্রার্থী। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যারা পরিবর্তন করতে পারবে আমরা তাকেই ভোট দেব। আমরা নাগরিক মর্যাদা চাই।’

আরেক বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এই বস্তিতে আমাদের কয়েক দশক। ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছি নানা অভাব-অনটনে। নোংরা পরিবেশ আর শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করতে চাই। বস্তিতেও সরকারিভাবে উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই। বস্তির ছেলেরাও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক।’

আরও পড়ুন

ঢাকা-২: আমানেই আস্থা, বিএনপিতে আছে বঞ্চনাও

নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বস্তিবাসী ভালো কিছু দেখতে চায়। অবহেলার আর কত শিকার হবে। নতুন পথ ও নতুন কিছু খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে মানুষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই পরিবর্তন চায়। কেউ অবহেলা আর বঞ্চনা চায় না।’

গুলশান মোড়ে মাঝে মাঝে যানজট আর সিগন্যালে বসে থাকতে হয় নাগরিকদের। এই সমস্যার সমাধানের কথা বলছেন নাগরিকরা। তারা বলছেন, আগামীর নির্বাচিত প্রতিনিধি গুলশান এলাকার যানজট নিরসনের উদ্যোগ নেবেন। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আন্ডারপাস করা গেলে পাল্টে যাবে গুলশানের সড়কের দৃশ্য। যানজট আর সিগন্যালে বসে থাকতে হবে না নাগরিকদের। সেইসঙ্গে স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবেন।

তারা আরও বলছেন, অফিস কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যানজট ও সিগন্যালে বসে থাকতে হয়। এতে করে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এই সমস্যা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চান এই আসনের বাসিন্দারা।

এসএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর