বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিন সড়কে প্রাণ ঝরার খবর আসে গণমাধ্যমে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়ার পরও কমছে না এমন মৃত্যুর মিছিল। এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতেও বহু তাজা প্রাণ ঝরেছে সড়কে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একটি সড়ক দুর্ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছে।
গত ২ এপ্রিল চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকার ওই সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মাঝে পাঁচজনই একই পরিবারের।
বিজ্ঞাপন
বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই বাবা, মা, ছোট দুই বোনের মৃত্যুর পর দুই দিন চট্টগ্রাম মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন কলেজ পড়ুয়া তাসনিম ইসলাম প্রেমা। গত শুক্রবার শেষ পর্যন্ত তারও মৃত্যু হয়।
যে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এতো প্রাণহানি হয়, সেই এলাকার অর্থাৎ দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, হাসপাতালে এই মুহূর্তে আরও দুইজন গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি আছেন।
ঈদের ছুটি কাটাতে পরিবারের সবাই মিলে কক্সবাজারে যেতে চেয়েছিল বরিশালের পিরোজপুর জেলার ওই পরিবারটি। কিন্তু ফেরার পথে একটি দুর্ঘটনায় সবাই প্রাণ হারান।
ঘটনাটি গণমাধ্যমে এলে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ কিংবা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকেই বাংলাদেশের সামগ্রিক সড়ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিজ্ঞাপন
ঈদে দুই শর বেশি সড়ক দুর্ঘটনা
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ওই দুর্ঘটনা এবার ঈদের কোনো একক ঘটনা নয়। ঈদের আগের সাত দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিন- এই মোট ১৫ দিনকে ঈদযাত্রা হিসাবে ধরা হয়। ওই হিসাবে গত ৩১ মার্চ ঈদ হওয়ায় এবারের ঈদ যাত্রা এখনও শেষ হয়নি।
ফলে এবারের ঈদযাত্রায় মোট কতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে, তার কোনও পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও কোনো মাধ্যম থেকে পাওয়া যায়নি।
তবে সড়কে অব্যবস্থাপনা, দুর্ঘটনা রোধ ও যাত্রীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এবারের ঈদের সড়ক দুর্ঘটনা একটি প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে।
তাদের প্রাথমিক হিসাবে ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে, গত ২৪ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২১৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৯ জন। আহতের সংখ্যা ৫১৬ জন।
সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক জানান, এখনও ঈদযাত্রা শেষ হয়নি এবং অনেক তথ্য আসেনি। ফলে দুর্ঘটনা এবং হতাহতের সংখ্যা তাদের প্রাথমিক পরিসংখ্যান থেকে বেড়ে যেতে পারে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরের আগে-পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে ৪০৭ জন নিহত এবং এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়।
২০২৩ সালের রোজার ঈদের ১৫ দিনে সড়কে ৩০৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ৩২৮ জনের। আহত হয়েছিলেন ৫৬৫ জন।
এছাড়া বিগত নয় বছরে শুধুমাত্র ঈদুল ফিতরে সারাদেশে দুই হাজার ৩৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৭১৪ জন নিহত এবং সাত হাজার ৪২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় সংগঠনটি।
কেন ঠেকানো যাচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল?
পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিসরে আন্দোলন হয়েছিল ২০১৮ সালে।
ওই বছরের ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
এই ঘটনায় তাদের সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং রাতারাতি তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে নয় দফা দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনে দেশের প্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সমর্থন দিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই আন্দোলনের পর প্রায় আট বছর হয়ে গেলেও এখনও বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। ঈদে তো বটেই, সারাবছরই সড়কে কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান দুর্ঘটনা'র কিছু কারণ চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা কোনও একক কারণে হয় না। দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে অনেকসময় দ্রুতিগতির কথা বলা হলেও বাস্তবতা হলো, দুর্ঘটনায় অনেকগুলো বিষয় নিহিত থাকে।’
এগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- সড়কের গঠনে ত্রুটি থাকতে পারে, চালক অদক্ষ ও ক্লান্ত হতে পারে, যানবাহনের ফিটনেসে ঝামেলা থাকতে পারে ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সেক্রেটারি মো. সাইফুল আলম মনে করেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ অদক্ষ চালকের হাতে গাড়ি দেওয়া হয়, বিশেষ করে ঈদের সময় এমনটা বেশি হয়।
সাইফুল আলম বলেন, ‘সচারাচর মহাসড়কে আমরা যেসব গাড়ি দেখি, সারাবছর যারা চলে, তারা ওই রুটে এক্সপার্ট। প্রতিবছর ঈদের সময় দুর্ঘটনা হয়, তাই আমরা এবার ঈদে সিটি সার্ভিসের বাসগুলোকে যাত্রী নিয়ে কোথাও যেতে দেইনি। পাহারা বসাইছিলাম টার্মিনালে।
‘কিন্তু, ফেরার পথে অনেক লোকাল বাস রিজার্ভ যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। রেগুলার ড্রাইভারদের আইডিয়া আছে যে পথের কোথায় বাজার, কোথায় অটো ঝামেলা করে। লোকালদের তা নাই।’
সাইফুল আলম বলেন, কক্সবাজারের ওই বাসের চালকও ওই রুটের চালক ছিল না।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমাও বলেন, তারা এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছেন, ঈদ উপলক্ষেই মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেওয়া বাসটি মহাসড়কে নেমেছিল।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাসটির চালকের বাড়ি বরিশাল এবং মাইক্রোবাসের চালকের বাড়ি সিলেটে।
আইনে বিচার হয় কতজনের?
যখন এই ধরনের বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তখন সাধারণত এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিছুদিন পরে আবার আলোচনা থেমেও যায় বলে জানা খাত সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর যে হারে দুর্ঘটনা ঘটে, সেই তুলনায় বিচারের হার খুবই কম।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ নাগরিক অধিকার প্রশ্নে বিভিন্ন সময় আইনী লড়াই চালিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় যে মামলাগুলো হয়, সেগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে যায় না। বেশিরভাগই কম্প্রোমাইজ হয়ে যায়। আর দুর্ঘটনার বিচার খুবই কম হয়। এক শতাংশ মামলারও চূড়ান্ত বিচার হয় না।’
দুর্ঘটনা ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বুয়েটের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান। তার মতে, দুর্ঘটনা ঘটলে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে তা করা হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ধার করা লোকজন এনে’ তদন্ত কমিটি করা হয়।
‘এই বিষয়টা ত্রুটিযুক্ত। কারণ যারা সড়ক নির্মাণ করছে, যারা যানবাহনের ফিটনেস দিচ্ছে, তারাই তদন্ত কমিটিতে থাকলে তদন্ত করে দুর্ঘটনার মূল কারণ বের করা অসম্ভব।’ বলেন তিনি।
উদাহণ হিসাবে অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, গাড়ির টায়ার ফেটে দুর্ঘটনা হয়েছে, প্রায়ই এমন কথা শোনা যায়। কিন্তু ‘টায়ার পরিবর্তনের দায়িত্ব কার? মালিকের না চালকের? টায়ার কেন ফাটল? এই টায়ারকে বিআরটিএ কীভাবে ফিটনেস দিল?’– এই প্রশ্নগুলো করা হয় না সাধারণত।
তবে কোনও সড়ক দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশে চালকরা কিছুদিনের জন্য ‘জেল-জরিমানার মাঝে পড়ে, কিন্তু এটি স্থায়ী কোনও সমাধান নয়। পুরো সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে। নইলে কোনও শাস্তিতে কাজ হবে না।-বলেন বুয়েটের এই শিক্ষক।
অন্যদিকে, মোজাম্মেল হক দায়ী করেন মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়া, ত্রুটিপূর্ণ মামলা, জটিল তদন্ত প্রক্রিয়াকে। তিনি বলেন, ‘আদালতের কাছে সঠিক তথ্য দিলে বিচার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দুর্ঘটনার মামলায় সাক্ষী পাওয়া যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা উন্নত বিশ্বের মতো ক্যামেরাকে সাক্ষী হিসাবে ব্যবহার করতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত আদালতের কাছে সঠিক অভিযোগ দায়ের করতে পারব না।’
এক্ষেত্রে পরিবহন মালিকদেরও দোষারোপ করেন তিনি। মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তাদের (মালিকদের) সমিতি আছে। তারা মামলার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু একজন বিচ্ছিন্ন নাগরিকের কথা হয়তো তারা শুনছে না।’
তবে পরিস্থিতিটাকে ভিন্নভাবে দেখছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। নিরাপদ সড়ক চাই, এই স্লোগান নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, ‘যারা মারা যায়, তারা খুব গরিব মানুষ। মামলা করলে কী হবে, কী হবে না, সেটাও অনেকে জানে না।’
তিনি বলেন, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টা খুব একটা বড় অংক না। এই কারণে মামলায় আগ্রহ কম। মামলা ছাড়াও বিআরটি-এর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আগ্রহ নাই। আর মামলা করার আগ্রহ সৃষ্টির জন্য কখনও উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
এক নজরে সড়ক পরিবহন আইন
বাংলাদেশে চালক ও পথচারী উভয়ের জন্য কঠোর বিধান যুক্ত করে ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে বহুল আলোচিত 'সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮'।
২০১৮ সালে ঢাকার দুই কলেজ শিক্ষার্থী সড়কে বাস চাপায় প্রাণ হারানোর পর শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ১৯শে সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন আইন পাস করে সরকার।
তার ১৪ মাস পর ২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে সেটি কার্যকর হয়েছে।
সড়ক পরিবহন আইন বেশ কিছু বিধান রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো:
• সড়কে গাড়ি চালিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হত্যা করলে ৩০২ অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
• সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে বা প্রতিযোগিতা করার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেয়ার নির্দেশ দিতে পারবে।
• মোটরযান দুর্ঘটনায় কোনও ব্যক্তি গুরুতর আহত বা প্রাণহানি হলে চালকের শাস্তি দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা।
• ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরযান বা গণপরিবহন চালানোর দায়ে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে।
• নিবন্ধন ছাড়া মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
• ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার এবং প্রদর্শন করলে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
• ফিটনেসবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ মোটরযান চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হয়েছে।
• ট্রাফিক সংকেত মেনে না চললে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
• সঠিক স্থানে মোটর যান পার্কিং না করলে বা নির্ধারিত স্থানে যাত্রী বা পণ্য ওঠানামা না করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
• গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে এক মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
• একজন চালক প্রতিবার আইন অমান্য করলে তার পয়েন্ট বিয়োগ হবে এবং এক পর্যায়ে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।
• গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে অতিরিক্ত ভাড়া, দাবি বা আদায় করলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দণ্ডিত করা হবে।
• ড্রাইভিং লাইসেন্সে পেতে হলে চালককে অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারীকে পঞ্চম শ্রেণি পাস হতে হবে হবে। আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও প্রয়োজন ছিল না।
• গাড়ি চালানোর জন্য বয়স অন্তত ১৮ বছর হতে হবে। এই বিধান আগেও ছিল।
এছাড়া সংরক্ষিত আসনে অন্য কোনও যাত্রী বসলে এক মাসের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
এমআর