শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

পঙ্গু হাসপাতালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
পঙ্গু হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারাদেশে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। এর বেশির ভাগই ঘটছে মোটরসাইকেলে। আর এসব দুর্ঘটনায় আহতদের বড় একটি অংশ ছুটে আসছেন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর)।

পঙ্গু রোগীদের জন্য দেশের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতালটির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. আবুল কেনান ঢাকা মেইলকে বলেন, এবারের ঈদেও সড়ক দুর্ঘটনায় রোগীর পরিমাণ বেশি। বিভিন্ন উপজেলা কিংবা জেলা শহর থেকে তারা আসছেন। তাদের বেশির ভাগই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার রোগী। কারও হাত ভেঙেছে, কারও পা ভেঙেছে। আবার কোনো কোনো রোগীর অবস্থা গুরুতর।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ঈদে দায়িত্ব পালন করে আনন্দ পাই: ডা. কৃষ্ণ চন্দ্র

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে ঈদের দিন (সোমবার) নিটোর হাসপাতালে ভর্তি হন ২৪১ জন। পরদিন  মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ইনডোরে সেবা নিয়েছেন ৭৫৮ জন আর ইমার্জেন্সি রোগী এসেছেন ৩৩১ জন। পরের দুই দিন বুধ ও বৃহস্পতিবারও রোগীর অতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা গেছে বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে।

আহত রোগীদের মধ্যে বেশি রয়েছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার রোগী, এরপর প্রাইভেটকার, ট্রাক-বাস দুর্ঘটনার রোগী।

Hospital


বিজ্ঞাপন


জানতে চাইলে ডা. আবুল কেনান বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার বিকল্প নেই। অধিকাংশই এখন বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান। আর মোটরসাইকেল চালকদের অনেকে নিজেদের সুরক্ষা এবং স্বাভাবিক গাড়ি চালান না। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।

এদিকে রোগীদের সেবায় প্রস্তুত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)। ঈদের সরকারি ছুটিতেও রোস্টার অনুযায়ী হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন

ঈদে গ্রাম-গঞ্জের সড়কে বাড়ে দুর্ঘটনা, প্রস্তুত ঢাকার হাসপাতালগুলো

এর আগে ২৯ মার্চ ডা. আবুল কেনান ঢাকা মেইলকে জানান, ঈদের ছুটিতে আসা রোগীদের সেবায় কোনো ধরনের ব্যাঘাত যেন না ঘটে সেদিকে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে রোস্টার অনুযায়ী টিম গঠন করা দেওয়া হয়েছে। ১০০ চিকিৎসক ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। হাসপাতালের সক্ষমতা অনুযায়ী রোগীরা সেবা পাবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সেবা বেশি রাখা হয়েছে।

এই চিকিৎসক বলেন, নিয়মিত ওটি ২৮টি, জরুরি বিভাগে ওটি আটটি খোলা থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে অন্যান্য সহযোগিতা নেওয়া হয়। রোগী সংখ্যা বেশি এলে তা যেন সামাল দেওয়া যায়, কেননা সবাই প্রত্যাশা নিয়ে সেবা নিতে আসেন।

এসএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন