ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় চতুর্থ দিনে জমে উঠেছে বাঙালির প্রাণের অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। তবে লোক সমাগম বাড়লেও হাসি ফুটেনি বইয়ের স্টল ও প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষের। তারা বলছেন, ক্রেতার থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সরজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
বেলা তিনটায় বইমেলা শুরু হলেও লোক সমাগম বাড়তে থাকে বিকেলের দিকে। এসময় দর্শনার্থীরা স্টল ও প্যাভেলিয়নগুলোতে ভিড় জমান। অনেকে আবার ঘোরাফেরার ফাঁকে স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে আড্ডায় সময় কাটাতে দেখা যায়।
এদিকে, পাঠক ও দর্শনার্থী বাড়ায় স্বস্তি থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম জানিয়ে বিক্রেতারা বলছেন, বেশিরভাগই দর্শনার্থী। তারা স্টলে এসে বই দেখছেন, অনেকে বই পড়ে দেখছেন তবে কিনছেন না। অনেকে আবার বই হাতে নিয়ে ছবি তুলছেন।
কাকলী প্রকাশনীর এক বিক্রয়কর্মী ঢাকা মেইলকে বলেন, এখন পর্যন্ত দর্শনার্থীই বেশি। বেশিরভাগ লোকজন বই দেখছেন। প্রতিবছরই এমন হয়। মাসের ১০ তারিখের পর থেকে ক্রেতা বাড়ে। এর আগে বেশিরভাগ লোকজন শুধু ঘুরে ঘুরে দেখে।
মহাখালী থেকে বইমেলায় আসা জারিফ বলেন, এখনও মাসের বেতন হয়নি। এদিকে একটা কাজে এসেছিলাম, ভাবলাম বই মেলায় ঘুরে যাই। শুক্রবার বাচ্চাদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে। তখন তাদের পছন্দমতো বই কিনে দেব। আর নিজেও কিছু বই কিনার পরিকল্পনা আছে। আজ শুধু ঘুরতে এসেছি।
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে জাতির ঘাড়ে ১৬ বছর ধরে চেপে থাকা স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। অভ্যুত্থানে আমাদের সাহসী তরুণদের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে এসেছে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ইস্পাত কঠোর প্রতিজ্ঞা।
এবার গণঅভ্যুত্থানের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। এবারের একুশের প্রেক্ষিত আমাদের নতুন দিগন্তে প্রতিস্থাপিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।