সচিবালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশের জন্য একটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। এই ফটক দিয়ে সারি বেঁধে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৫ নম্বর ফটক দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে দেখা যায়। যদিও ফটকটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু একটি গেট দিয়ে পরিবেশ করার কারণে প্রবেশ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লাগার পরে সকাল থেকে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সে কারণে সচিবালয়ে গেটের সামনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অপেক্ষা করতে থাকেন। আগুন লাগার ঘটনায় ভোর থেকেই অনেক কর্মকর্তা গেটের সামনে অবস্থান করেন। তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা যায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাতে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো সচিবালয় এলাকা। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরাও পরে আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেন।
অগ্নিনির্বাপণের কাজে পানির লাইন দিতে গিয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় ট্রাক চাপায় আহত হন মো. সোহানুর জামান নয়ন নামের একজন ফায়ার ফাইটার।
আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিজি।
এমই/এমএইচএম









































