‘আপনারা দেখেছেন, সচিবালয়ে একটা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। আমরা বলতে চাই, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটা সচিবালয়ের ভেতরে শেখ হাসিনার দোসররা পরিকল্পিতভাবে করেছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার দাস-দোসররা এখনো দেশে রয়েছে। তারা এখনো কিন্তু দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা অতীতে দেখেছি, আমরা যখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি তখন শেখ হাসিনা তার প্রশাসন বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করেছে।’
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজন করা ছাত্র অধিকার পরিষদের টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শাখার পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শাকিল উজ্জামান বলেন, শেখ হাসিনা ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের কিছু সময় পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা দুইবার মাথানত করেছে। এই দুইবারই কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে মাথানত করেছে। একটা হলো ২০১৮ সালে, যখন আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করি। সে জায়গায় ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য রাজপথ যখন যৌক্তিক দাবিতে অবরোধ করা হলো তখন শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে। আরেকবার বাধ্য হলো ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যখন রাজপথে আন্দোলন করেছি সেসময় সচিবালয়ের ভেতর থেকে বিভিন্ন রকম আমলা ও কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার জন্য মিছিল করে। যে সকল আমলা ও কর্মকর্তারা হাসিনার পক্ষে বিগত সময়ে সচিবালয় থেকে মিছিল করেছে, শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখার জন্য কাজ করেছে; তারা এখনো কিভাবে সচিবালয়ে থাকে। আমরা বলতে চাই, এ সকল শেখ হাসিনার দোসরদের কারণেই সচিবালয়ের ভেতরে অগ্নিসংযোগটা হয়েছে। সচিবালয়কে বলা হয় দেশের হৃদপিণ্ড, সকল কিছু এই সচিবালয়ের ভেতরে থাকে। সেই সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের দোসররা এই অগ্নিকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
দপ্তর সম্পাদক বলেন, আপনারা দেখে থাকবেন, সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন মাধ্যমে শেখ হাসিনার মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতির খবরগুলো পত্র-পত্রিকায় এবং বর্হিবিশ্বে প্রচার করছে। বিভিন্ন অজানা তথ্য বেরিয়ে আসছে; ঠিক সেই সময়ে শেখ হাসিনা তার যে দোসরগুলো রেখে গিয়েছিল তারা এই দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র যেন প্রচার না হয় সেজন্য প্রমাণস্বরূপ বিদ্যমান নথিপত্রগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা তার দোসরদের দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির নথিপত্র পুড়িয়ে রেহাই পাবে না। এই অপরাধের জন্য তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
আরও পড়ুন:
এসময় পরিচিতি সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সভাপতি আল আমিন উদয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, সদর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী, গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাসেল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান ছানবীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার গণঅধিকারের পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/এফএ









































