হঠাৎ করে কিছু গুজব নিয়ে আলোচনা চলছে, বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের খবরটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ইউনূস মধ্যরাতে পদ ছাড়েন এবং সেনাবাহিনী তার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করে রেখেছিল। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য নাকি তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন।
এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মুফাসসিল ইসলাম নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট রয়েছে, যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে ইউনূস সেনাপ্রধানকে বদলানোর পরিকল্পনা করেছিলেন এবং এই বিষয়ে তাদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি, বলছে এটি সম্পূর্ণ গুজব।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই গুজব নিয়ে একটি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে ইউনূসের সঙ্গে অন্যান্য উপদেষ্টারাও দেশ ছাড়ছেন।
গুজবের এই পরিস্থিতিতে জনগণকে কীভাবে সঠিক তথ্য যাচাই করতে হবে, সেটি বুঝতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, যখন কোন তথ্য দেখে সন্দেহ হয়, তখন সেটা শেয়ার করার আগে যাচাই করা উচিত। তথ্যের উৎস, লেখক, এবং সংবাদ প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে গিয়ে যাচাই করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি আরেকটি গুজবও প্রচলিত হয়েছে, যে শেখ হাসিনা ভারতে নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। তবে ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা এই তথ্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছেন।
গুজবের বৃদ্ধি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকার কারণে সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মিডিয়া ও সরকারকে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া, বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের নাম ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা তাদের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের নামে বেশ কিছু মিথ্যা খবর ছড়ানো হচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এইউ