সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

বগুড়ায় পৌষের এক সকাল

হাবীব ইমন
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

বগুড়ায় পৌষের এক সকাল

ট্রেন থামল বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে। চারদিকটা কুয়াশায় আচ্ছন্ন। কিছু দেখা যাচ্ছে না। একে তো অন্ধকার, তারওপর শীতকাল। দাপটে বইতে শুরু করেছে হু হু করা উত্তরের হাওয়া। পারদও নামছে তরতরিয়ে। সূর্য বেলা করেই জাগবে। 

আকাশ একটু ফর্সা হতেই বগুড়ায় পৌঁছলাম। রেলস্টেশন থেকে নেমে পড়লাম আমরা। আমরা মানে, আমাদের দুইজনের একটি দল। এসেছি পুণ্ড্রনগর নামে ঐতিহ্যবাহী বগুড়া শহরটাকে দেখতে। জানি না কী দেখবো, কী আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।  


বিজ্ঞাপন


bogura

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গত রাতে আমরা রওনা হয়েছি। রাত ৯টা ৪৫-এ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার কথা ছিল আমাদের বহনকারী লালমনি এক্সপ্রেসটি। সেই ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছল রাত সাড়ে ১২টায়। ভোর সাড়ে ৪টায় বগুড়ায় পৌঁছানোর কথা, পৌঁছল সাড়ে ৯টায়। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এখনও আগের মতো রয়ে গেছে, খুব একটা বদলায়নি। যেটি খুব অসুবিধা। ট্রেন কেন বিলম্ব হচ্ছে, কোথায় আছে— কোনো ধরনের তথ্যসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা নেই।  

আমরা ছাড়াও ট্রেনে আরও কয়েকজন আছেন। বাকিরা আগের স্টেশনগুলোতে নেমে গেছেন। লালমনিরহাট শেষ স্টেশন। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম একটু উত্তরবঙ্গের দিক থেকে ঘুরে আসি। উত্তরবঙ্গের শীতের কথা অনেক শুনেছি। ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মিলিয়া’—এমনটা গেছে কয়েক বছর। 

bogura


বিজ্ঞাপন


স্টেশন থেকে নেমে কী করব বুঝতে পারছি না। কোথাও কিছু নেই। কয়েকটা অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে।  জানি আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছেন মাহবুবা পারভীন—লুনা আপা। 

একটু এগিয়ে একটি চায়ের দোকান মিলল। চা শেষ করতে করতে জিগ্যেস করলাম ইবনে সিনা মোড় যেতে হয় কীভাবে। চা-ওয়ালা জানালেন, একটু আলো ফুটলেই ওখানে যেতে পাওয়া যাবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। 

bogura

মহানগরীতে শীতের ছোঁয়া কম। রাত গভীর হলে হিম হিম হাওয়া বাড়ে। অথচ ক্যালেন্ডারে পৌষ মাস। বগুড়ায় এসে দেখলাম শীতের উপস্থিতি ভালোই মালুম হচ্ছে। শীতের দাক্ষিণ্য পাওয়া যাবে। শীতের চেনা ছবি ফিরে দেখলাম ছিমছাম এ শহরে। শীতের পোশাক পরে ঠকঠক করে কাঁপছে মানুষ। শহরটি ব্যস্ত, যদিও দোকানপাট—অফিস-আদালত এখনও খোলেনি, অটোরিকশায় ঠাসা, বাজার-মাকামের উৎসব মুখরতা। 

আরও পড়ুন-
>> জলকাণ্ডেশ্বর মন্দির: অপূর্ব শিল্পকর্মে পরিপূর্ণ প্রাচীন স্থাপনা
>> বান্দরবান ভ্রমণে সাইরু রিসোর্টের ভালো-মন্দ

অন্ধকার কাটতে শুরু করেছে। আমরা একটি অটোরিকশায় উঠে পড়লাম। পিচঢালা সড়ক ধরে অটোরিকশা ছুটছে শহরের দিকে, শেরপুর রোডের কানুছগারী এলাকায়। পূর্বদিকে লাল সূর্যটা আমাদের সঙ্গে দৌড়াচ্ছে। অটোরিকশার গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীত বাড়তে লাগল। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর