রোববার, ১৯ মে, ২০২৪, ঢাকা

বান্দরবান ভ্রমণে সাইরু রিসোর্টের ভালো-মন্দ

তাসনীম জাহান জিনিয়া
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বান্দরবান ভ্রমণে সাইরু রিসোর্টের ভালো-মন্দ

গত ১ সেপ্টেম্বর আমাদের বিবাহবার্ষিকী ছিল। ঘুরাঘুরি পছন্দের কাপল হওয়ায়, ট্যুর দিয়েই অ্যানিভার্সারি পালন করলাম। ৩ দিন এবং ২ রাত বান্দরবানের দুটো জায়গায় থেকেছি। প্রথম দিন আমরা ছিলাম বান্দরবানের বহুল পরিচিত ‘সাইরু হিল রিসোর্টে’। 

আমরা প্রায় ট্যুরের ২০ দিন আগে রিসোর্ট বুক করেছিলাম। বুকিং করতে ৫০% অ্যাডভান্স করতে হয়। সাইরু রিসোর্ট এর সবচেয়ে সুন্দর রুম প্রিমিয়াম কাপল রুম নিয়েছিলাম। আমরা আগেই বলে রেখেছিলাম টপ ভিউ রুম দিতে। এই রুম রেগুলার ১৮০০০ টাকা পার ডে, ১০% ডিসকাউন্টে ১৬২০০ টাকা পড়েছিলো আমাদের।


বিজ্ঞাপন


sairuআমরা টপ ভিউ রুম পেয়েছিলাম। সাইরুর রুম খুবই সুন্দর এবং বিশেষ করে আমাদের রুম, বারান্দা আর জানালা দিয়ে খুব সুন্দর দৃশ্য দেখা গেছে। দারুণ প্রাকৃতিক দৃশ্য। রুমে থেকেই অনায়াসে ৩/৪ দিন পার করে দেয়া যাবে। 

চেক ইন করে আমরা সুইমিং পুলে গিয়েছিলাম। ওদের পুলটা একদম টপে। সব রুমের ওপরে। উঠতে কিছুটা কষ্ট হয় যেহেতু পাহাড়ের ওপর করা। পুলে নেমে আরও এক অসাধারণ ভিউ পেলাম। তবে পুলের পানি কিছুটা ঠান্ডা ছিল। আমরা কম সময় পুলে থেকেছি যেহেতু বাবু ছিল।

sairuদুপুরের খাবার হিসেবে আমরা তেলাপিয়া মাছের স্টিম একটি পদ, লইট্ট্যা ফ্রাই, ডাল ও বাতাবি ভাত খেয়েছি। সব খাবার অসাধারণ এবং ভিন্ন স্বাদের ছিল। আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

রাতের খাবারে ছিল স্টিম কোরাল, লইট্ট্যা ও সবজি। এগুলোও খুব সুস্বাদু ছিল। খাবারের ১ ঘণ্টা আগে অর্ডার করতে হয় ওখানে।


বিজ্ঞাপন


sairuপরদিন সকালে আমাদের অ্যানিভার্সারির জন্য আগের রাতেই কেক অর্ডার করে রেখেছিলাম। ওদের কেকের ডেকোরেশন তেমন সুন্দর হয় না। স্বাদ মোটামুটি। সকালে বুফে ব্রেকফাস্ট ছিল। আইটেম খুব বেশি না, ১৫/২০টা হবে। তবে সব খাবারই বেশ ভালো ও সুস্বাদু ছিল। সকালের নাস্তা শেষে আমরা রেস্টুরেন্টের বারান্দায় সুন্দর ভিউয়ের সঙ্গে কেকটা কেটেছিলাম। 

সাইরুতে চেক ইন দুপুর ২ টায়, চেক আউট ১২ টায়। তবে রুম ফাঁকা থাকায় এবং আমরা আগে পৌঁছানোতে ১১ টায় চেক ইন করতে পেরেছিলাম। ওদের সেবা সবমিলিয়ে আমাদের বেশ ভালোই লেগেছে।

sairuবেবিসহ আমরা ৩ জন গিয়েছিলাম। ঢাকা থেকে ডিরেক্ট হানিফ ভলভোতে বান্দরবান গিয়েছি। সময় ৬-৮ ঘণ্টা লাগে। টিকেটের মূল্য প্রতিটি ১৮০০ টাকা। বাসভ্রমণ আনন্দদায়ক ছিল। বান্দরবান শহর থেকে সাইরু সিএনজি রিজার্ভ ১০০০ টাকা।

লেখক: ভ্রমণপ্রেমী ও অনলাইন ব্যবসায়ী

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর