রান্না বিষয়টি বেশ বিস্ময়কর বলা যায়। একই উপকরণ দিয়ে তৈরি রান্নার স্বাদ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম। সবজি কাটার ধাপ থেকেই এই বৈচিত্র্যের শুরু হয়। একেক সবজি একেকভাবে কাটতে হয়, একেক অংশ ফেলতে হয়। আবার কোন সবজি খোসা ছাড়ানো উচিত আর কোনটি খোসাসমেতই রান্না করা উচিত তার ওপরও স্বাদ নির্ভর করে।
আদা তো সব বাড়িতেই খাওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে এটি কীভাবে খাওয়া উচিত? খোসা ফেলে? নাকি খোসা সমেত?
বিজ্ঞাপন
বেঙ্গালুরুর অ্যাস্টার হোয়াইটফিল্ড হাসপাতালের চিফ ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান বীণা ভি’র মতে, ‘আদার খোসা খাওয়ার জিনিসের মধ্যেই পড়ে। আদা যদি তাজা ও পরিষ্কার হয়, তাহলে খোসাসমেত খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু খোসায় যদি প্রচুর তন্তু থাকে অথবা জৈবিক পদ্ধতিতে আদা চাষ না করা হয়, তাহলে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়াই ভালো। নয়তো কীটনাশক পেটে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।’
আদার খোসা খাওয়ার উপকারিতা
আদার খোসায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার এবং ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও খোসায় প্রচুর পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা পেটের অসুখের সময়ে অস্বস্তি কমাতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খোসা না ছাড়ালে খাদ্যের অপচয়ও কমে।
আদার খোসা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
খোসাসমেত আদা খেতে হলে কিছু বিষয় মেনে চললে বিপদের আশঙ্কা থাকে না। আদার ওপরে যে ময়লার আস্তরণ থাকে, তাতে ব্যাকটেরিয়া এবং কীটনাশকের অবশেষ থেকে যেতে পারে। তাই সেগুলো ভালো করে ধুয়ে তারপর খেতে হবে বা রান্নায় দিতে হবে। নয়তো উপকারি খোসাই শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
কিন্তু আদা যদি জৈবিক পদ্ধতিতে চাষ না করা হয়, তাহলে দ্বিধা না রেখে খোসা ছাড়িয়ে ব্যবহার করাই ভালো। সেটিই নিরাপদ।
যাদের ঘন ঘন খাবার হজমে সমস্যা দেখা দেয়, তাদের জন্য আবার অতিরিক্ত আদার খোসা খাওয়া ভাল নয়। পরিমিত পরিমাণে খেলে অবশ্য লাভবান হবেন। আদার খোসা সবসময় সহজে হজম করা যায় না।
এনএম