একেকজনের ইমিউনিটি একেকরকম হয়। কেউ রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। কেউবা অল্পতেই একদম কাবু হয়ে যায়। একজন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা শক্তিশালী তা যেমন তার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে, তেমনই নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের ওপরও।
একটি গবেষণা অনুযায়ী, যাদের রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ (O+) হয়, তাদের ইমিউনিটি সবার চেয়ে বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবে এদের ইমিউনিটি খুব শক্তিশালীও হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষরা স্বাস্থ্যগতভাবে খুব ভাগ্যবান হন। কারণ তাদের সংক্রমণজনিত রোগের ঝুঁকি খুবই কম থাকে।
বিজ্ঞাপন

এই রক্তের গ্রুপের অধিকারী ব্যক্তিদের শরীরে কীটপতঙ্গ, মশা, পরজীবী, কৃমি, অণুজীব ইত্যাদি ঢুকলেই ইমিউন সিস্টেম সেগুলোকে তৎক্ষণাৎ ধ্বংস করে দেয়। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষের মধ্যে কিছু বিশেষ ধরনের রোগের ঝুঁকি কম থাকে, যেমন হার্ট ডিজিজ। অর্থাৎ অন্যান্যদের তুলনায় ও পজিটিভ গ্রুপের মানুষের হৃদরোগের আশঙ্কা তুলনামূলক কম।
আরও পড়ুন-
কারণ এই গ্রুপের ব্যক্তিদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং রক্ত থেকে ক্ষতিকর অণুজীবগুলো দূর হয়ে যায়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের ঝুঁকিও কম থাকে। যা হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।
বিজ্ঞাপন

ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রভাব অনেক বেশি থাকে। অর্থাৎ, অন্য রক্তের গ্রুপের মানুষের দেহে যদি ভ্যাকসিনের প্রভাব ৬ মাস থাকে, তাহলে ও পজিটিভ গ্রুপের মানুষের মধ্যে তা এক বছরেরও বেশি সময় থাকে।
আরও পড়ুন-
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সাধারণত ঠান্ডা-জ্বর হয়। কিন্তু পজিটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষদের এমন হয় না। তাদের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী থাকায় অনেক রোগ কাছে ঘেঁষতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপের অধিকারী, তাদের শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। আমাদের শরীরে ৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ভালো ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব থাকে, যা ত্বক থেকে পেট পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ও পজিটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়তে থাকে, যা পেটের রোগ থেকে তাদের রক্ষা করতে পারে এবং পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
এনএম

