প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু দিন পিরিয়ড চলা মানেই বাড়তি টেনশন। রোজকার কাজে পরিবর্তন আনতে হয় এসময়। গরম সেঁক, আদা জল খাওয়া অনেক চেষ্টা করেও অনেকের এসময় পেটের যন্ত্রণা কিছুতেই কমে না। বাধ্য হয়ে পেইন কিলার খেয়েও লাভ হয় না।
আরও পড়ুন- অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া সমাধান
কেউ কেউ পরামর্শ দেন পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা থেকে বাঁচতে একেবারে শুয়ে বসে না থেকে হালকা ব্যায়াম করতে। এতে নাকি ঋতুস্রাবজনিত ক্লান্তি, পেশির ব্যথা, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা অনেকটাই কমে। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, পিরিয়ড চলাকালীন শরীরচর্চা করা কি আদৌ ভালো?
চিকিৎসকরা এসময় শরীরচর্চায় পক্ষেই। তাদের মতে, পিরিয়ডের সময়ে হরমোনের হেরফেরে মন-মেজাজও বিগড়ে থাকে। ব্যায়াম করলে এমন সমস্যাগুলোও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এসময়ে ভারী কোনও ব্যায়াম করা উচিত নয়। বরং হালকা কিছু ব্যায়াম করলে সবদিক থেকেই উপকার মেলে।
পিরিয়ডের সময় কোন ব্যায়াম করবেন?
এসময় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। কার্ডিয়ো, স্ট্রেচিংয়ের মতো ব্যায়াম করলেও শরীরের ক্ষতি হবে না। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যায়াম যোগাসন ও প্রাণায়াম।
পিরিয়ডের সময়েও খুব স্বাভাবিক নিয়মে সাঁতার কাটতে পারেন। বরং এসময় সাঁতার কাটা সবচেয়ে বেশি উপকারী শরীরচর্চা। এতে শরীর ভালো থাকবে, কমবে পিরিয়ডকালীন সমস্যাও।
পিরিয়ডের সময় কোন ব্যায়াম করবেন না?
এসময় খুব বেশি লাফানো বা ছোটাছুটি করা উচিত হবে না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বরং আস্তে আস্তে কোমর, পিঠ, হাতের ব্যায়াম করতে পারেন। এতে পেট ব্যথা কমবে।
পিরিয়ডের সময় ভারী শরীরচর্চা থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত ওজন তুলবেন না। কারণ নারীদের ডিম্বাশয়সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পেটে থাকে। পিরিয়ডের সময় ভারী ব্যায়ামে ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পাশাপাশি প্রস্রাব চেপে রাখবেন না। এটি কিডনির ওপরে ভয়াবহ রকমের চাপ ফেলে। অনেকে বারবার প্যাড পাল্টানোর ভয়ে পিরিয়ডের সময় প্রস্রাব চেপে রাখেন। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এমনটা করলে তলপেটের ওপর চাপ পড়ে এবং ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
সবার শারীরিক অবস্থা এক নয়। তাই অন্য কোনো জটিলতা থাকলে পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
এনএম