মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া সমাধান

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৫ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

একজন প্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী বা তরুণীর তরুণীর নিয়মিত ও সময়মতো পিরিয়ড বা মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক। যদি তা না হয়, তবে বুঝতে হবে কোনো শারীরিক সমস্যা রয়েছে। 

অসুস্থতা কিংবা জীবনচর্চায় কোনো ক্ষতিকর অভ্যাস যুক্ত হলে মাসিক অনিয়মিত হয়। এই বিষয়টি অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। 


বিজ্ঞাপন


অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ

অতিরিক্ত কাজের চাপ
ওজন হ্রাস
ওভারির সমস্যা
থাইয়রেড সমস্যা
হরমোন ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি 
মানসিক চাপ
অতিরিক্ত ব্যায়াম

আরও পড়ুন- 
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাসিক অনিয়মিত হলে নারীরা দুশ্চিন্তা শুরু করেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য আরও ক্ষতিকর। নিয়মিত বা দ্রুত মাসিক হওয়ার ওষুধ অনেকে খেয়ে থাকেন। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা মাসিক নিয়মিত হতে সাহায্য করে। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক- 

টকজাতীয় ফল

মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে টকজাতীয় ফল। তেঁতুল, জলপাই, মাল্টা ইত্যাদি খেতে পারেন। চিনি মেশানো পানিতে তেঁতুল এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এর সঙ্গে লবণ, চিনি ও জিরা গুঁড়ো মেশান। দিনে দুবার এটি পান করুন। অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করবে এই পানীয়। 

কাঁচা পেঁপে

অনিয়মিত মাসিকের সমস্যায় ভুগলে কাঁচা পেঁপে খান। এটি জরায়ুর মাসল ফাইবার কন্ট্রাকশনে সাহায্য করে। টানা কয়েক মাস কাঁচা পেঁপের রস খেলে পিরিয়ড নিয়মিত হয়। তবে মাসিক চলাকালীন এটি না খাওয়াই ভালো। 

আদা

মাসিকের চক্রকে নিয়মিত করতে এই মসলাটি বেশ কার্যকর। ১ কাপ পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ৫-৭ মিনিট সিদ্ধ করে পানিতে মিশিয়ে নিন। তিনবেলা খাবার খাওয়ার পর এটি পান করুন। নিয়মিত এক মাস পানে সমাধান মিলবে। 

আরও পড়ুন- 
পিরিয়ডের সময় যেসব ভুলে বাড়ে বন্ধ্যাত্ব-জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি

আপেল সিডার ভিনেগার

খাবার খাওয়ার আগে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তের ইনসুলিন ও ব্লাড সুগার কমিয়ে দিয়ে থাকে। ফলে মাসিক নিয়মিত হয়। 

তিল

উপকারী উপাদান তিল। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে সাহায্য করে। তিলে থাকা উপাদান হরমোন উৎপাদন করে থাকে। অল্প পরিমাণের তিল ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এর সঙ্গে মেশান এক চামচ গুড়। রোজ খালি পেটে এক চা চামচ করে খান। উপকার মিলবে। 

আরও পড়ুন- 
নারীরা যে ধরনের বিষণ্ণতায় বেশি ভোগেন

ব্যায়াম

নিয়মিত ব্যায়াম করলে মাসিকের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা মাসিক হতে সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে পেশি বাঁধা পায়। যার কারণে পেশি সংকোচন শুরু করে, শরীরে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দিয়ে থাকে। ঋতুস্রাব শেষে ব্যায়াম করলে পরবর্তীতে সঠিক সময়ে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এসবের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও বেশ জরুরি। মনে রাখবেন। একবার মাসিক দেরিতে হলে অত চিন্তার কিছু নেই। তবে পিরিয়ডের দিকে খেয়াল রাখুন। টানা তিন মাস পিরিয়ড না হলে, বছরে ৯ বারের কম পিরিয়ড হলে বা প্রতিবার পিরিয়ড হওয়ার মাঝে ৩৫ দিনের বেশি বিরতি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন