বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

বছরজুড়ে আলোচনায় উচ্চ আদালত, ‘নজিরবিহীন’ ঘটনার সাক্ষী

আমিনুল ইসলাম মল্লিক
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বছরজুড়ে আলোচনায় উচ্চ আদালত, ‘নজিরবিহীন’ ঘটনার সাক্ষী
ছবি: সংগৃহীত

বিদায় হতে যাওয়া ২০২৪ সালে উচ্চ আদালত ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এ বছর নানা ঘটনা ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মধ্যে কিছু ঘটনা এমন, যার কোনো নজির অতীতে নেই। উচ্চ আদালতের একটি রায়কে (কোটা পুনর্বহাল) কেন্দ্র করেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। ক্ষমতার পালাবদলে উচ্চ আদালতের সর্বত্র ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতা ধরে রাখা আওয়ামী লীগ উচ্চ আদালতে নিজেদের যে ছক সাজিয়েছিল তা অনেকটা তছনছ হয়ে গেছে।

প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির পদত্যাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতির ছুটি, বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় খালাস দেওয়ার ঘটনা ছিল ব্যাপক আলোচিত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা, চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাসহ আলোচিত অনেক মামলার রায় ঘোষণা করা হয় বিদায়ী বছরে। এসবের মধ্যে আলোচিত ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুনর্গঠনের কাজ। জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনাসহ তার অনেক মন্ত্রী-এমপি এবং ব্যবসায়ী ও আমলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে এই ট্রাইব্যুনালে।


বিজ্ঞাপন


নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই বিচারের মুখে হাসিনা

জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে প্রায় দুই হাজারের মতো ছাত্র-জনতা শহীদ হন। আহত হন হাজার হাজার মানুষ। এর জেরে পতন হয় শেখ হাসিনার। এসব হত্যাকাণ্ডের প্রধান নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ সারাদেশে মামলা হয় কয়েক শ। এর মধ্যে গত নভেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকাতেই মামলা হয়েছে ২৩৭টি।

ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে মামলার তদন্ত কাজ। শুধু শেখ হাসিনাই নয়, ট্রাইব্যুনাল গঠনের আরও কয়েক কারিগরকেও দাঁড়াতে হচ্ছে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায়।

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের ‘সুবিধাভোগী’ আইনজীবীরা আদালতে অনুপস্থিত কেন?

২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। শেখ হাসিনার গড়া ট্রাইব্যুনালে ৮৮টি মামলায় ৩২৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। এরমধ্যে ৫২টি মামলায় ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। ৯৩ জনের বিরুদ্ধে প্রাণদণ্ডাদেশ, ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় এবং ছয়জনের ২০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। দুজন খালাস এবং একজনের আদেশে নিষ্পত্তি হয়েছে। ছয়জনের প্রাণদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাদের ফাঁসানোর জন্য যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ, সময়ের পরিক্রমায় সেই ট্রাইব্যুনালেই বিচারের মুখোমুখি দলটির শীর্ষ নেতারা।  

Traibunal1

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, কামরুল ইসলাম, ফারুক খান, ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী।

এই তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও সচিব জাহাংগীর আলম। গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের পদত্যাগ

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গা ঢাকা দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এর কয়েক দিন পরেই তিনি অনলাইনে ফুল কোর্ট সভা ডাকেন। তখনই তাকে পদত্যাগ করতে হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতারা। জমায়েত ঘটায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। পরে ১০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আরও পড়ুন

সেই খায়রুল হক এখন কোথায়?

গত ১৬ অক্টোবর দুর্নীতি ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। এরপর থেকে নতুন করে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হয়নি তাদের।

ছুটিতে থাকা বিচারপতিরা হলেন— বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। একযোগে এতজন বিচারপতিকে ছুটি দেওয়ার নজির পূর্বে দেখা যায়নি। 

কোটা পুনর্বহাল, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়

বিদায়ী বছরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কোটাপদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

Court2

রায়ে বলা হয়, ২০১২ সালে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ, ২০১৩ সালের লিভ টু আপিলের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগে তা বহাল ও সংশোধিত আদেশ এবং ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারির অফিস আদেশের (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির কোটা) আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ, যদি অন্যান্য থাকে, কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হলো। ওই রায়কে কেন্দ্র করে কোটাবিরোধী আন্দোলন ফের প্রকম্পিত হয় রাজপথ। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে একপর্যায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।

প্রথমবারের মতো হাইকোর্ট থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ

আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগ পাওয়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের পদত্যাগের পর নানা জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। কারণ, ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে পদত্যাগ করেন আরও পাঁচ বিচারপতি। তখন আপিল বিভাগে বাকি থাকেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। এরপর ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনিই প্রথম বিচারপতি যিনি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

আরও পড়ুন

‘আনিসুলের বান্ধবী’ তৌফিকার অপকর্মে তটস্থ ছিল আইনাঙ্গন!

১০ আগস্ট রাতেই বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ

১২ জন বিচারপতিকে ছুটি দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৩ জনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ৮ অক্টোবরে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

২১ আগস্টের মামলায় তারেক-বাবরসহ সবাই খালাস

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

JJJ

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না। যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।

বিচারিক আদালত এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

সাজা স্থগিত খালেদা জিয়ার

গত ১১ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজাও স্থগিত করেন আদালত। আপিল শুনানি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে সাজা। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সার সংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসংক্রান্ত বিধান অবৈধ

আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা কয়েকটি বিষয় অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনেন উচ্চ আদালত। তবে, পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা বাতিল করা হয়নি এ রায়ে।

আরও পড়ুন

‘পাঠাও চালক’ সেই মাসুদ এখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশে পরিণত হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৭ আসামির খালাস

বিদায়ী বছরে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সাত আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

RRR

খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন— এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম এনামুল হক, জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমীন, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম মারা যাওয়ায় তার ক্ষেত্রে মামলা অকার্যকর ঘোষণা করেন আদালত। তবে, তার ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বহাল রাখেন আদালত।

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— আকবর হোসেন, লিয়াকত, সাহাবুদ্দিন, হাফিজ, মঈনুদ্দিন ও হাজি আব্দুস সোবহান।

এআইএম/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর