সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

শিশু বিশেষজ্ঞদের বঞ্চনা ও বৈষম্য নিরসনে কাজ করবে বিপিএ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

শুধু সরকারি শিশু বিশেষজ্ঞ নয়, বেসরকারি শিশু বিশেষজ্ঞদেরও বঞ্চনা ও বৈষম্যের নিরসনে কাজ করবে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো অকারণে ইচ্ছেমতো যাতে কোনো বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসক ছাঁটাই করতে না পারে এবং আর যাতে কোনো চিকিৎসক কর্মস্থলে লাঞ্ছিত না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

রোববার (০৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) নবগঠিত কমিটির আয়োজনে অধ্যাপক আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে মিরপুরস্থ বিপিএ ভবনে ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভায় এসব কথা বলেন চিকিৎসক নেতারা।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে নবগঠিত বিপিএয়ের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, মহাসচিব ডা. ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে আগত সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকবৃন্দের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

7

আগত চিকিৎসকবৃন্দ ফুল দিয়ে নবগঠিত কমিটির সবাইকে বরণ করে নেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসকবৃন্দ বিদ্যমান শিশুস্বাস্থ্য খাতের সংস্কার, পদোন্নতি, সুপার নিউমারারি ও নিয়মিত পদসৃজন ও ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিকমানের মাল্টিডিসিপ্লিনারি সরকারি শিশু ইনস্টিটিউট তৈরি ও দেশের সকল বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপিত শিশু হাসপাতালসমূহে চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগের দাবি জানান। 


বিজ্ঞাপন


একইসঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিপিএ এর গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করার জোর দাবি করেন চিকিৎসকরা। 

এছাড়াও অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞানচর্চা বিকশিত করার লক্ষ্যে অচিরেই বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও জার্নাল এবং ওয়েবসাইট আধুনিকায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি পেশ করা হয়। 

সভায় বিপিএ এর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের নেতৃত্বে শুধু সরকারি শিশু বিশেষজ্ঞ নয় বরং বেসরকারি শিশু বিশেষজ্ঞদেরও বঞ্চনা ও বৈষম্যের নিরসনে প্রয়োজনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো অকারণে ইচ্ছেমতো যাতে কোনো বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসক ছাঁটাই করতে না পারে এবং আর যাতে কোনো চিকিৎসক কর্মস্থলে লাঞ্ছিত না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখার অঙ্গীকার করেন। 

তিনি আরও বলেন, আমরা কেউ নেতা হতে আসিনি, আমরা শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব ও অধিকার আদায় করতে এসেছি।

ঈদ পুনর্মিলনী সভায় উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিপিএ মহাসচিব ডা. ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, বিপিএ শুধু শিশু বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতির জন্য কাজ করে নাই, বরং বিপিএ ও ওজিএসবি এর হাত ধরেই দেশে একটি বিরাট সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য সুপারনিউমারারি (৭৭৫০টি) পদ বাস্তবায়নে কাজ করেছে।

তিনি বিগত চার বছর বিপিএ এর কোনো ওয়েবসাইট হালনাগাদ না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। আগের অনির্বাচিত বিপিএ শিশু স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য কোনো কাজ করেন নাই বলে অভিযোগ করেন। 

সরকারি পদোন্নতির দাবি আদায়ে পাশে থাকায় তিনি সকল শিশু বিশেষজ্ঞদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

তিনি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বিপিএ এর ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু করার ও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিপিএ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, আমি দেশের প্রথম নির্বাচিত বিপিএ সভাপতি। বিপিএ এর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে আমি এগিয়ে এসেছি এবং আপনাদের পাশে আছি। 

তিনি বলেন, শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত থেকে বিপিএ কে মুক্ত করতে হবে, বিপিএ হতে হবে সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল। পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিপিএ কে আর কুক্ষিগত করে রাখা যাবে না। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান কমিটির হাত ধরেই বিপিএ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, ডা. আঈনুল ইসলাম খান, ডা. মো. মনির হোসেন, অধ্যাপক খয়বর আলী, অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ, অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, ডা. রকিবুল ইসলাম খান, ডা. আব্দুর রউফ, ডা. এএসএম. মাহমুদুজ্জামান, ডা. মুস্তাব শিরা মৌ প্রমুখ।

বিইউ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন