তিশার জন্য সাংবাদিকরা অনেক করেছেন: নাসিম

আরও পড়ুন>>এবার তিশার ৯ মিনিটের ফোনালাপ ফাঁস

এরপর লেখা হয়েছে, সকলকে সাথে নিয়েই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জনের সাথে আমাদের মতবিরোধ, ভুল বোঝাবুঝি এমনকি কখনও কখনও অপ্রীতিকর ঘটনারও সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই একটু সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আমরা অভিনয়শিল্পীরা, আমাদের গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে কথা বলার ক্ষেত্রে ভীষণ সচেতন থাকা দরকার। যাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমাদের কথায় কষ্ট না পান। অসম্মানিত না হন। 

ওই বিবৃতিতে আরও লেখা হয়, অভিনয়শিল্পীদের লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও অনুসারীরাও যেন তাদের প্রিয় শিল্পীর কোনো আচরণে আহত না হন, অশ্রদ্ধা না করেন। একসাথে চলতি পথে সমস্যা হবেই এবং তার সমাধানও হবে। সবাইকে এ বিষয়ে ধৈর্যধারণ করতে হবে। প্রয়োজনে আপনি আপনার অগ্রজ ও শ্রদ্ধার অভিনয়শিল্পীর সাথে আলোচনা করুন। অভিনয়শিল্পী সংঘের সাথে আপনার সমস্যা নিয়ে কথা বলুন। আমরা সবসময়ই আপনার যেকোনো সংকটে আপনার পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকব। কিন্তু অসংযত হয়ে আমরা গণমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন কিছু বলব না যাতে আমাদের সহযাত্রী আমাদের ভুল বুঝবেন।

এরপর লেখা হয়েছে, অভিনয়শিল্পীর সাইবার নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাথে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ আছে। অভিনয়শিল্পীর আইনগত সহায়তা ও পরামর্শের জন্য আমাদের লিগাল উইং আছে। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরামর্শের জন্য আমাদের বিভিন্ন আয়োজন আছে। আপনার যেকোনো প্রয়োজনে আমরা সবসময় আছি। তাই উক্ত বিষয়ে সকল অভিনয়শিল্পীদের সচেতন হতে বিনীত অনুরোধ করছি। পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সুন্দর কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

আরও পড়ুন>>ক্ষমা চাইলেন তানজিন তিশা

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেইলের সঙ্গে কথা হয় সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিমের। আত্মহত্যা চেষ্টার খবর প্রকাশের পর সংবাদকর্মীর সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পর এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে তিশা সংঘের পরামর্শ নিয়েছিলেন কী না জানতে চাইলে নাসিম বলেন, পারামর্শ করেনি তবে যোগাযোগ করেছিল। আমার সাথে তার কথা হয়েছে। ও (তানজিন তিশা) একটি পোস্ট (তিশার ক্ষমা চেয়ে দেওয়া পোস্ট) দিয়েছিল। পোস্টটি ভালো ছিল। ও আমাকে বলেছিল, আমার শুধু একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আর কারও বিরুদ্ধে না। আমি বলেছিলাম, তোমার পোস্টটা ভালো ছিল। ওটা ডিলিট করেছ কেন? তখন সে তার মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছিল। ওর পোস্টটা ঠিক ছিল। কিন্তু ডিলিট করেছে কেন? কিংবা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আর জানায়নি। 

আরও পড়ুন>>মনোনয়ন ফরম কিনলেন মাহি 

এ সময় সংঘের এ নেতা বলেন, এখানে সবাই মিলে চলতে হবে। কাউকে হেয় করা যাবে না। সাংবাদিক, শিল্পীরা তো একে অন্যের পরিপূরক। অনেক সাংবাদিক অনেক শিল্পীকে প্রমোট করেছেন। ভালো ভালো নিউজ করেছেন। তিশার জন্যও সাংবাদিকরা অনেক করেছেন। ওকে সাংবাদিকরা যেভাবে প্রমোট করেছে এটা অনেক শিল্পীর ভাগ্যেই জোটেনি। তাছাড়া শিল্পী ও সাংবাদিকরা আগেই বলেছি একে অন্যের পরিপূরক। আমরা তো আর আইন আদালত না। তবে চাই পারষ্পারিক সম্মানটা। সম্মান নিতেও চাই, দিতেও চাই। আমি যদি কাউকে সম্মান দেই তবে কেউ আমাকে সম্মান করবে না। 

কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন তানজিন তিশা। আত্মহত্যার চেষ্টার খবর, সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাজে আচরণ, সাবেক প্রেমিকের প্রাক্তনের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস, সব মিলিয়ে আলোচনা সমালোচনার টেবিলেই থাকতে হচ্ছে তাকে। 

সবশেষে আজ সোমবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি। সাড়ে চারটার দিকে ঢোকেন সেখানে। পরে গণমাধ্যমকে জানান সাইবার বুলিংয়ের ব্যাপারে কথা বলতেই ডিবি অফিসে এসেছেন তিনি।