বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

৯৯ শতাংশের বেশি কারখানার বেতন পরিশোধের দাবি বিজিএমইএ’র

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৭ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ফাইল ছবি

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সদস্য কারখানার ৯৯ শতাংশের বেশি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে।

বিজিএমইএ এর প্রশাসক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো-ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ কারখানা পরিশোধ করেছে। ঈদ বোনাস দিয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ কারখানা।

তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বেতন-বোনাস দেবে কারখানাগুলো। কয়েকটি কারখানা আজকেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আমরা শ্রমিকদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আগাম তৎপরতায় সমাধান করেছি। এগুলোতে আর সমস্যা নেই।

তারপরও হয়ত শেষ পর্যন্ত হাতে গোনা কয়েকটি মার্চ মাসের বেতনের একাংশ দিতে পারবে না। কিন্তু ঈদ বোনাস ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন সবাই দিতে পারবে।

পোশাক খাতের শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধে ঈদের আগের শুক্র ও শনিবার শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


বিজ্ঞাপন


বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানার মধ্যে সচল রয়েছে ২ হাজার ১০৭টি, যার মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৭৬৯টি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি।

এসব কারখানার ঈদ উৎসব ভাতা, ফেব্রুয়ারির বেতন ও মার্চের বেতনের একাংশ পরিশোধ কার্যক্রম দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছে বিজিএমইএ।

কারখানাগুলো পরিদর্শন করে দেওয়া সেই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা দেওয়া কারখানার সংখ্যা হচ্ছে এক হাজার ৯৯৭, যা মোট কারখানার ৯৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ৯৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ বা দুই হাজার ৯৭টি।

এসব কাখানার কোনো বকেয়া বেতন নেই। বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা দেওয়া কারখানাগুলোর ছুটি শুরু হয়েছে ২৬ মার্চ থেকে।

বৃহস্পতিবার ছুটিতে গিয়েছে আরও ৩৭৪টি কারখানা। গত দুই দিনে ছুটিতে যাওয়া কারখানা হচ্ছে ৫৩৫টি। আগামী ২৮ থেকে ২৯ মার্চে অবশিষ্ট কারখানা ছুটিতে যাবে।

শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ এর তথ্য অনুযায়ী, এবারে ২৪৫টি কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। এসব কারখানায় পরিদর্শন করেছে বিজিএমইএ কমিটি।

বেশিরভাগের সমস্যা সমাধান হলেও এখনো ১১টি কারখানা সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে সবশেষ বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এবার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে চলতি মাসের শেষ দিনে বা ১ এপ্রিল। তৈরি পোশাক খাতে মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়।

শ্রম অসন্তোষ ঠেকাতে সেই দাবিও মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। এজন্য অর্থ যোগাতে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে উদ্যোক্তাদের দেওয়া সরকারি প্রণোদনার অর্থ দ্রুত ছাড় করে সরকার।

এবার তিন ধাপে মোট দুই হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া হয়। আগের বছরে ঈদের সময়ে এ অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি টাকা।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিয়েছে দুই হাজার ৭৬৮টি বা ৯৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ঈদ উৎসব ভাতা পরিশোধ করেছে ২ হাজার ১৬৭টি বা ৭৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

মার্চে মাসের বেতনের একাংশ দিয়েছে ৪৬২টি বা ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন