উচ্চ সুদহারের প্রভাবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমে দাঁড়িয়েছে ৭.১৫ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্টে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে— জানুয়ারি মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার ১১০ কোটি টাকা, যা গত বছরের জানুয়ারি মাসে ছিল ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। তবে, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের গড় সুদহার প্রায় ১২ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৮ শতাংশের নিচে।
বিজ্ঞাপন
ঋণ প্রবৃদ্ধির এই নিম্নস্তরের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ সুদহারের ফলে ব্যবসায়িক খরচ বেড়েছে, যার ফলে বিনিয়োগ চাহিদা কমে গেছে। যদিও ডলার সংকট কিছুটা কমেছে, তবুও নানা ধরনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা এখনও বিদ্যমান। এ ছাড়া, আমানত প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৭ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর কাছে বিনিয়োগের জন্য তহবিলও কমে গেছে।
আরও উল্লেখযোগ্য, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট এখনও অব্যাহত রয়েছে, এবং দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ব্যবসায়িক পরিবেশে আরো চাপ সৃষ্টি করেছে। এই সকল পরিস্থিতির কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির তথ্য পাওয়া যায়। ২০২১ সালের মে মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে নেমেছিল, যা করোনা পরবর্তী সময়ে ৭.৫৫ শতাংশ ছিল। তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশে পৌঁছেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে— শেয়ারবাজারে ব্যাপক ধসের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৯.৮৭ শতাংশে পৌঁছায়, যা পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী হতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এইউ