প্রতিষ্ঠানে হিজড়া, ট্রান্সজেন্ডার ও প্রতিবন্ধীদের নিয়োগ দিলে তাদের জন্য কর ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাব করেছেন কোনো প্রতিষ্ঠানে ২৫ জনের বেশি সমাজে পিছিয়ে থাকা এই তিন শ্রেণির কর্মী নিয়োগ দিলে বিশেষ কর ছাড় দেওয়ার।
বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থান, জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে চালুকৃত বিশেষ কর প্রণোদনা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান তার মোট কর্মচারীর ১০ শতাংশ বা ২৫ জনের বেশি প্রতিবন্ধী, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া নিয়োগ দেয় তবে কর্মচারীদের পরিশোধিত বেতনের ৭৫ শতাংশ বা করের ৫ শতাংশ যেটি কম তা কর রেয়াত হিসেবে অনুমোদনের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
এর আগের বিধান সংশোধন করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ এ বাজেটের আকার ছয় লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে।
এবারের বাজেট মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকার কম-বেশি। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার দেশের অভ্যন্তর থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে ঋণ নেবে এক লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরের উৎস হিসেবে ব্যাংক ঋণ নেওয়া হবে ৯৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। বাকিটা আসবে সঞ্চয়পত্র থেকে। এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সেই সঙ্গে নতুন করে আরও ১১ লাখ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষায় আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
বিইউ/ একেবি