রমজানে ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ লেবু। রোজার আগে থেকেই ঊর্ধ্বমুখী পণ্যটির দাম। হালিতে বেড়েছে কয়েকগুণ। রোজার মাঝামাঝিতে এসে দাম এখনো অস্বাভাবিক। সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে।
বিজ্ঞাপন
বাজার ঘুরে দেখা গেছে বড় সাইজের এলাচি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মাঝারি সাইজের এলাচি লেবু ১০০ টাকা এবং কলম্ব লেবু ৮০ হালিতে।
ক্রেতারা বলছেন, ইফতারিতে বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য লেবু। সিন্ডিকেট করে সেটির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রোজার মাসেও তাদের দৌরাত্ম্য কমেনি।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির অভাবে লেবুর ফলন কম হয়েছে। তাই চাহিদার তুলনায় লেবুর সরবরাহ কম। এজন্য কিছুটা সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া রমজানে সবসময় লেবুর বাড়তি চাহিদা থাকে।
লেবু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ঢাকা মেইলকে বলেন, লেবুর সরবরাহ থেকে চাহিদা বেশি। আড়ৎ থেকেই বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয়, এজন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। লেবুর দাম বাড়তি থাকায় কমে গেছে বেচাকেনাও। মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনছেন। দামও বলছেন কম।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন-
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, জালি ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৬০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা এবং শশা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি গোল বেগুন ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা, ঢেড়স ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৮০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হচ্ছে।
রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি দেখা গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন বাধ্য হয়ে বাড়তি দাম দিয়ে তাদের কিনতে হচ্ছে।
এমই/ইএ