বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

শ্রেণিকক্ষের দরজা আটকে ২২ শিক্ষার্থীকে পেটালেন শিক্ষক

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নিসচিন্তা পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নবম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীকে পিঠিয়ে আহত করেছেন।

স্কুলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চ স্বরে আওয়াজ করে। এতে ২২ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে বেদম প্রহার করেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী। জুলফিকার আলী উপজেলার মোরাট ইউনিয়নের বাগদুলি গ্রামের বাসিন্দা।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৯ মে) আনুমানিক দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী মারপিঠ করেন বলে আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। সেসময় শিক্ষার্থীরা উচ্চ স্বরে আওয়াজ করলে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করে বেত দিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে ৯ম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর ওপর। এতে করে ২২ জন শিক্ষার্থীর গুরুতর আঘাত লাগে। যাদের মধ্যে একজন ক্লাসরুমেই বেহুশ হয়ে পড়ে। পরে তারা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

পরবর্তীতে আহত শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে অভিভাবকসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর কাছে যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।

এ বিষয়ে নিসচিন্তা পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থী রাহুল জানায়, ক্লাস চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন আমাদের মধ্যে কয়েকজন উচ্চ স্বরে চিৎকার করলে স্যার এসে আমাদের সবাইকে বেত দিয়ে আঘাত করেন। রাহুল নিসিন্তা পুর গ্রামের কোরবান শেখের ছেলে।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জুলফিকার আলীর সঙ্গে আজ (১০ মে) সরেজমিনে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো প্রকার কথা বলতে রাজি হননি।

বিষয়টি নিয়ে নিসচিন্তা পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না। পরে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি জানতে পারি।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওহাব মন্ডল বিষিয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের দেখেছি। শিক্ষক জুলফিকার আলী কাজটি ঠিক করেননি। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিকেলে তার সঙ্গে দেখা করে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন।

লিখিত অভিযোগ পাওয়া পেলে তিনি সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ছাত্র ও অভিভাবকদের আশ্বাস দেন। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন