সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই এবং সালমান খানের প্রেম কাহিনি সবার জানা। তাদের প্রেম নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। বলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিল পর্দার জনপ্রিয় তারকা জুটি বাস্তাবেও জুটি বাঁধবেন। কিন্তু সবার জল্পনা নিমিশেয় ভেঙে যাই তাদের প্রেম বিচ্ছেদে। অনুরাগীদের কৌতুহল কোন কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়েছিল!
বিজ্ঞাপন
ঐশ্বরিয়া ১৯৯৭ সালে তামিল সিনেমা ‘ইরুভার’ অভিনয় দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। একই বছর বলিউডে অভিষেক হয় ‘আর প্যার হো গয়া’ সিনেমায়। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিতে ব্যার্থ হন।

এরপর জুটি বাঁধেন বলিউড ভাইজান সালমানের সঙ্গে। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিং থেকে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তারকা জুটি। মিডিয়া তখন তাদের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে প্রতিদিনই খবরের শিরোনাম করছে। ঐশ্বরিয়া কোন অভিনেতার সঙ্গে কাজ করবেন, কোন ছবিতে কাজ করবেন, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দিতে শুরু করেন সালমান।
বিজ্ঞাপন
সেই সময় ঐশ্বরিয়ার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত সালমানের হাতেই। অভিনেতার অনাধিকার চর্চায় ভালোবাসা ফিকে হতে শুরু করে। একবার নাকি ঐশ্বরিয়ার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দরজা খোলার জন্য পাগলের মতো চিৎকার করতে থাকেন। সে সময় এই ঘটনা শিরোনাম দখল করেছিল অনেক সংবাদমাধ্যমের। ঐশ্বরিয়া দরজা না খুললে তিনি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকেন।

এর কিছুদিন পরেই হরিণ শিকার–কাণ্ডে নাম জড়ায় সালমানের। শুধু তা–ই নয়, শোনা যায়, এ সময় নাকি তার অভিনেত্রীকে না জানিয়ে তার সাবেক প্রেমিকা সোমি আলির সঙ্গেও কথাবার্তা বলতেন সালমান। এমনকি তার বাবার চিকিৎসার জন্য টাকাও পাঠান ‘ভাইজান’। এদিকে মদের প্রতি আসক্তি মেনে নিতে পারছিলেন না সাবেক বিশ্বসুন্দরী।
ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার মামলা
ঐশ্বরিয়ার বাড়ি থেকেও কিছুতেই এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাইছিলেন না তাঁর মা–বাবা। সে কথা পরবর্তীকালে নিজেই বলেছিলেন সালমান। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন ‘ওর বাবা (ঐশ্বরিয়া) কৃষ্ণরাজ রাই আমাকে পছন্দ করতেন না। আমার সাবেক সম্পর্কগুলোর জন্য ওর বাবা আমাকে মেনে নিতে পারেননি। ওর পরিবারের সঙ্গেও আমার ঝামেলা বেঁধেছিল ওর বাবার জন্যই।’

সাবেক বিশ্ব সুন্দরীর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘটলে এরপর বহু বছর পেরিয়ে গেলেও সালমানের আর বিয়ে করা হয়নি। অন্যদিকে অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করে ঐশ্বরিয়া এখন এক সন্তানের মা।
ইএইচ/

