জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় স্ত্রীর অধিকার পেতে এক নারী তার স্বামীর বাড়িতে অনশনে বসেছেন। এদিকে বাড়িতে অবস্থানের পর পরই রেহেনার সঙ্গে থাকা তার খালাতো বোনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মোবাইলে থাকা সকল প্রমাণাদি ও যোগাযোগের নাম্বার ডিলেট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকেই উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর এলাকায় ওই নারী আব্দুল মজিদ দপ্তরির ছেলে মো. নাজমুল মিয়ার (২৩) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অনশনে বসা ওই নারী শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের মেয়ে রেহেনা আক্তার।
রেহেনা আক্তার বলেন, গত ৭-৮ বছর আগে আমার প্রেমিক নাজমুল তার এলাকায় একটি মামলার আসামি হয়েছে। আমাদের গ্রামে তার এক আত্নীয়ের বাড়িতে আসে। সেখান থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আমার বাড়িতে আমার বিয়ের প্রস্তাব আসলে নাজমুল আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার বিয়ে ভেঙে দেয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে নাজমুলের সঙ্গে পাঁচ মাস ঢাকায় গাজীপুরে এক বাসায় সংসার করি। সংসার করা অবস্থায় নাজমুল চাকরির কথা বলে আমার পরিবারের কাছ থেকে মোট আড়াই লা্খ টাকা নেয়। আমাকে মিথ্যা কথা বলে টাকা সে বিদেশে চলে যায়।
আমি তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে না পেয়ে একাধিকবার তার বাড়িতে আসলে আমার শ্বশুর এবং মামা শ্বশুর হুমায়ুন মাস্টারসহ এলাকার লোকজন মীমাংসার কথা বলে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি সুষ্ঠু সুরাহা না পেয়ে আবার তার বাড়িতে এসেছি, আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোহাম্মদ পারুল বলেন, মেয়েটি আমার কাছে একাধিক বার এসেছে। আমি বার বার মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। ছেলের পরিবার থেকে মীমাংসা হয় নাই।
এ বিষয়ে নাজমুলের বাবা আব্দুল মজিদ ও মামা হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে ডিক্রিরচর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এজিএম মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। যদি মেয়েটি অভিযোগ দেয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এইচই