পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজবাড়ীতে অনুষ্ঠিত হলো পোষা বিড়ালের ভিন্নধর্মী এক মিলন মেলা।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিড়াল মেলার আয়োজন করে বিড়াল প্রেমীরা।
বিজ্ঞাপন
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মিল্কী, মায়া, মিনি, আদর, পুষি, জোজো, টুকু, টাইগারসহ নানান নামের বাহারি রংয়ের নিজেদের পোষা তুলতুলে আদরের বিড়াল নিয়ে মাঠে হাজির হয়েছেন বিড়াল প্রেমীরা। নাম ধরে ডাকলেই ঘাড় ফিরিয়ে সাড়া দিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে দেখছে বিড়ালগুলো। একটি বিড়ালের চোখে চশমা। আরেকটি বিড়ালের গলায় ঘণ্টা। পরনে দামি বেল্ট, বাহারি সাজ সজ্জা তো আছেই। কেউ বিড়ালকে আদর করছেন। কেউবা আবার ব্যস্ত সেলফি তুলতে। দেশি-বিদেশি বাহারি জাতের শতাধিক বিড়ালের অংশগ্রহণে মেলার মাঠ আনন্দের আড্ডায় রূপ নিয়েছে।
মেলায় সাদা রংয়ের একটি মিশ্র জাতের পুরুষ বিড়াল নিয়ে এসেছেন কাইয়ুম খান তুষার। তিনি বলেন, বিড়াল ছোট বড় সবাইকে আনন্দ দেয়। ইঁদুর খেয়ে খাদ্যশস্য, গৃহস্থালি সামগ্রী ও দোকানের পণ্যসামগ্রী সুরক্ষায় সাহায্য করে। মূলত বিড়ালের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়াতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন। শুধু প্রদর্শনী, র্যাম্প শো নয় বিনামূল্যে এসব বিড়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে সুপরামর্শ।
আরও পড়ুন
মেলায় এক জোড়া বিদেশি পার্সিয়ান জাতের বিড়াল নিয়ে এসেছেন মারজিয়া রহমান তৃয়াশা। তিনি বলেন, বাসায় বিড়ালগুলো আমাদের ভাইবোনের মতো। বাবা-মা আমাদের যেমন কেয়ার করে, তাদেরও তেমনি কেয়ার করে। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাই বিড়ালের সঙ্গে। মুঠোফোনে গেম খেলার চেয়ে বিড়ালের সঙ্গে খেলা অনেক ভালো। বিড়াল কাছে থাকলে মন খারাপ হয় না। বিড়ালটা এখন পরিবারের অংশ হয়ে গেছে।
এই বিড়াল মেলার প্রধান উদ্যোক্তা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতেমা ফেরদৌস বলেন, দেশে বিড়ালের সংখ্যা বাড়ছে। বিড়াল শুধু প্রাণীই নয়, এটি পরিবারেরও সদস্য। এই সদস্যকে নিয়ে এখন মানুষ সময় কাটায়। বিড়ালপ্রেমিকদের এক ছাতার নিচে আনার জন্যই এই আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এখানে বিড়ালের ভেকসিনেশন, বিড়ালকে নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট– যেমন ক্যাটওয়াক, বেস্ট ক্যাট সিলেকশন, বিড়ালের ফ্রি হেলথ চেকআপ, বিড়ালে খাবার সম্পর্কে আলোচনা, বিড়ালের লালন-পালন ও রোগবালাই সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে।
শুধু বিদেশি বিড়াল নয় আমাদের দেশি বিড়ালগুলোর প্রতি আমাদের বেশি যত্নশীল হতে হবে। রাজবাড়ীতে উন্নতমানের একটা পশু ক্লিনিক গড়ে ওঠা অতি জরুরি।
প্রতিনিধি/এসএস