মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা শিল্পপতি জাহিদুল ইসলাম ও তার শিল্পপতি ভাইদের বাড়িতে সোমবার রাতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় বাড়ির ভেতর থেকে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার আমতৈল গ্রামে অবস্থিত ‘স্টাইল স্মিথ স্যান অ্যাপারেলস্ লিমিটেড’ এর স্বত্বাধিকারী ফারুকুল ইসলাম তার ৬ ভাইসহ ঈদ করতে গ্রামে আসেন। ঈদের নামাজ শেষে হঠাৎ তাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির অদূরে রাস্তার ওপর এলাকায় দুটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাতের আঁধারে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী মেহগনি বাগানের দিকে এগিয়ে এসে ভাঙচুর শুরু করে। তবে বাড়ির ভেতর থেকে ফাঁকা গুলি চালানোর কারণে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী মনে করছেন, হামলাকারীরা তাদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট এবং দামি গাড়ি ভাঙচুর করার জন্য হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তবে শিল্পপতি ফারুকুল ইসলাম ও শিল্পপতি হারুক আহমেদ তাদের লাইসেন্সকৃত পিস্তল ও শর্টগান দিয়ে ৫-৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি না ছুড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘উপায়ান্তর না পেয়ে আমরা বাড়ির পিছনের গেট দিয়ে বাড়িতে ঢুকে দোতলায় উঠে শর্টগান ও পিস্তল নিয়ে দুর্বৃত্তদের মাথার ওপর দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ি। এতে ভীত হয়ে তারা পালিয়ে যায়। মূলত তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের বাড়ির মহিলাদের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করা এবং ৫টি প্যারাডো গাড়ি ভাঙচুর করা। আমরা সময়মতো না এলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো। এ সময় আমরা দোতলা থেকে দেখতে পাই নোহাটা গ্রামের মিজানুর রহমান টিটোর নেতৃত্বে ইস্কট, হাসেম জোয়ারদার, সোহাগ এবং লিপ্টনসহ অর্ধশতাধিক দুষ্কৃতকারী হামলা চালাচ্ছিল।’
হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক বদিয়ার রহমান বলেন, ‘মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ এই গার্মেন্টসে চাকরি করছে। মাঝে মাঝেই আমাদের মালিকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর হচ্ছে। এতে গার্মেন্টস বন্ধের পায়তারা করা হচ্ছে। আমরা চাই, এ ধরনের ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আর তা না হলে এই প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।’
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রীস আলী জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিছু দেশী অস্ত্র বাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/একেবি