জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ুন কবীর, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও চারজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সরকারি প্রকল্পের ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২৩ টাকা আত্মসাৎ করায় জামালপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জিহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ মে) সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- ৬ নম্বর ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (সম্প্রতি মদন উপজেলায় বদলিকৃত) হুমায়ুন কবীর, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ময়না মিয়া, রবিউল ইসলাম, আতিকুর রহমান দুলাল ও জাহানারা বেগম।
মামলা সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্নসময়ে ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের বরাদ্দকৃত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কোনো কাজ না করে কাগজে কলমে বাস্তবায়ন দেখানো হয়। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১৫টি প্রকল্পের ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২৩ টাকা আত্মসাৎ করেন।
বিজ্ঞাপন
জামালপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পিপি ও দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান রতন জানান, দুদকের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুদক মামলা দায়ের করে। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা মামলাটি আমলে নিয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল ও পিআইও হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ভাটারা ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার (প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা)। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইজিপিপি প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। আমি অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নই, কিন্তু ট্যাগ অফিসার হওয়ার কারণে আমাকেও আসামি করা রয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস