খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় স্বামীর প্ররোচনায় মিথ্যা অভিযোগে হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মংশ্যে চৌধুরীসহ জনপ্রতিনিধির দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নারী মিলকী বড়ুয়া।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী মিলকী বড়ুয়া সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গুইমারার বটতলীর মন্টু কার্বারী পাড়ার চাইহ্লাপ্রু মারমা ভালোবেসে ৯৯ সালে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য তার আত্বীয় স্বজনের সহায়তায় স্বামীকে ফ্রান্সে পাঠালে বদলে যেতে থাকে। শুরু করে মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন এবং বান্দরবানের এক নারীকে বিয়ে করেন।
গত ১১ জানুয়ারি এক আত্মীয়সহ ঘরের মালামাল আনতে গেলে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে বেদমভাবে মারধর ও নির্যাতন করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সাদাকাগজে সই স্বাক্ষর রেখে চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি পাঠিয়ে দেয়। চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলেও থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে সিআর মামলা রুজু করলে আদালত এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেয়। এর পরও পুলিশ নানা টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তার ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন এবং হামলায় তার দাঁত ভেঙে ফেললেও থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী ন্যায় বিচার পেতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মংশ্যে চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রতিনিধি/এসএস