লালমনিরহাটের তিস্তা থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত রেলপথের বিভিন্ন স্থানে পাথর উঠে গেছে। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সরেজমিনে জানা গেছে, তিস্তা থেকে চিলমারী রেলপথে উলিপুর-চিলমারী রেললাইনে পুরোনো স্লিপার, স্লিপারের পিন ও লাইনের দুধারে প্রয়োজনীয় পাথর নেই। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কম গতিতে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি রংপুরের উদ্দেশ্যে চলছে। লাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চলার সময় তিন থেকে চার ইঞ্চি পরিমাপ দেবে যাচ্ছে স্লিপার।
বিজ্ঞাপন
থানাহাট পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন ও জাহিদ মিয়া বলে, আমাদেরকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। যখন হেলে-দুলে ট্রেন আসে তখন মনে হয় যেন গায়ের ওপরে পড়ছে। অনেক ভয়ে থাকতে হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ থেকে জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে তিস্তা-চিলমারী রেলপথে রেল চলাচল শুরু হয়। এই অঞ্চলের প্রায় ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। রেলের উন্নয়নে সম্প্রতি কুড়িগ্রাম থেকে উলিপুর পর্যন্ত রেলপথের কাজ শুরু হলেও উলিপুর থেকে চিলমারী রমনা স্টেশন পর্যন্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ মাত্র ১০ কিলোমিটার বরাদ্দ দিলেই নদীবন্দর এলাকা পর্যন্ত রেলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হতো।
চিলমারীর গোলাম হাবীব মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, ট্রেনের গতি কমিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েই দায় সারছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন যে গতিতে চলে তাতে অনেকেই চলন্ত অবস্থায় যাত্রীরা নামছে-উঠছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই রেলপথ দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, চিলমারী বন্দরের ওপর নির্ভরশীল বুড়িমারী ও সোনাহাট স্থলবন্দর। এই রেল লাইন সংস্কার ও আন্তনগর করা না হলে চিলমারীবাসীর প্রতি অবিচার করা হবে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের সহকারী প্রকৌশলী মামুন উর রশিদ বলেন, শিগগিরই চিলমারী অংশের কাজ হবে।
প্রতিনিধি/এইচই