images

স্পোর্টস / ক্রিকেট

বিসিবিতে অভিযান শেষে যা জানালো দুদক

স্পোর্টস ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নানাবিধ আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি এর গঠনতন্ত্র এবং তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই অভিযানের এক মাস পেরোতেই আবার বিসিবিতে আজ অভিযান চালিয়েছে দুদক।

আজ (শনিবার) দুপুর ১টার দিকে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে দুদক। চার সদস্যের দল নিয়ে অভিযান চালিয়েছে সংস্থাটি। নতুন গঠনতন্ত্র, তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাইপর্ব এবং আর্থিক অনিয়ম নিয়ে আজ অভিযান চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- মুস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় আইপিএলের ম্যাচ বয়কটের দাবি!

আরও পড়ুন- আনচেলত্তিকে নিয়োগের পর ব্রাজিল ফুটবলের প্রধান বরখাস্ত

অভিযান শেষে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের যে বাছাই প্রক্রিয়া এবং গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতির কথা জানিয়েছে দুদক। প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুদক সহ-পরিচালক রাজু বলেন, 'অভিযানের বিষয় ছিল তৃতীয় বিভাগের বাছাইপ্রক্রিয়া, নতুন গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য বিভিন্ন আর্থিক অভিযোগ নিয়ে আমরা এখানে আসছি। সেই অভিযোগের আলোকে আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করে সকাল থেকে সেগুলো পর্যালোচনা করলাম। আমরা সবার সঙ্গে কথা বললাম। আমরা সব কাজ এখনও শেষ করতে পারিনি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।'

তৃতীয় বিভাগ বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের যে বাছাই প্রক্রিয়া সেটা একসময় ছিল বেশ সহজ প্রক্রিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২২ সালের পর কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়, সেখানে ২-৩টার বেশি দল অংশগ্রহণ করতে পারে না। সেক্ষেত্রে এটা অনেক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়ে যাচ্ছে। তাতে আমাদের জাতীয় দলের জন্য ভালো খেলোয়াড় তৈরির পাইপলাইনটা খুবই সীমিত হয়ে যায়। এই বিষয়টাকেই আমরা ফোকাস করেছি।’ 

আরও পড়ুন-
পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে সাকিব, মাঠে নামবেন কবে?
বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচ খেলেই আইপিএলে যাবেন মুস্তাফিজ
ফের বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ রোনালদো, সেরা দশে আরও যারা
টেস্টকে কোহলির বিদায়ের নেপথ্যে ব্যক্তিগত কথা জানালেন রবি শাস্ত্রী

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি এখানে এমন কিছু শর্তাদি দেয়া হয় যেটা আমাদের দেশের ক্লাবগুলোর জন্য.....আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসে তাদেরকে সহযোগিতা করার যে পথ সেগুলো রুদ্ধ করা হয়েছে।’

গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিসিবি যে গঠিত হয়েছে, এটা একটা গঠনতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত হয় সেই গঠনতন্ত্র কতটা বৈধ এবং সিদ্ধ সেটা আমরা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ আছে গঠনতন্ত্রে৷ কিছু অসঙ্গতি আছে। এখানে গঠনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেখানে আদালতের একটা রায় ছিল। সেই রায় অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়ে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে। গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা শেষে আমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছি, একটা অর্গানাইজড উপায়ে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল বিসিবি। কিন্তু এই জায়গাতে আমরা অসঙ্গতি পেয়েছি।’