images

ইসলাম

৫ম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক

১৫ মার্চ ২০২৪, ০৭:০২ পিএম

রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। এই মাসেই নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআনুল কারিম। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। আজ পঞ্চম তারাবি। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত পঞ্চম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা সুরা মায়েদার ৮৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা আরাফের ১১ আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে পড়া হবে ৭ম পারা থেকে শুরু করে ৮ম পারার প্রথম অর্ধেক পর্যন্ত। চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবির বিষয়বস্তুগুলো।

সুরা মায়েদা, আয়াত ৮৩-১০০
কসম ভঙ্গ করার কাফফারা, মদ-জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্যনির্ণায়ক তীর নিক্ষেপ হারাম ইত্যাদি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ইহরাম অবস্থায় শিকার নিষেধ করা হয়েছে। কেউ যদি ইহরাম অবস্থায় শিকার করে ফেলে, তবে তার কাফফারা কী হবে, তা-ও বলা হয়েছে সুরা মায়েদার এই অংশে।

সুরা মায়েদা, আয়াত ১০১-১২০
অহেতুক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, অহেতুক প্রশ্ন তোমাদের জন্য অকল্যাণ ডেকে আনে। তাই এ থেকে বিরত থাক। আরও বলা হয়েছে, কারও মৃত্যুর সময় অসিয়ত করা জরুরি। আর অসিয়তের সময় যেন দুজন সাক্ষী রাখা হয়। সাক্ষীদের থেকে যদি মিথ্যার আশঙ্কা থাকে অথবা অন্য কেউ যদি দাবি করে আমাকে ভিন্নরকম অসিয়ত করা হয়েছে—এমন নাজুক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কসমের মাধ্যমে সমাধান করতে বলা হয়েছে। কেয়ামতের দিন হজরত ঈসা (আ.) এবং তাঁর মা হজরত মরিয়ম (আ.)-এর সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কী কথা বলবেন, খ্রিস্টানদের সম্পর্কে কী জিজ্ঞেস করবেন— তা আলোচিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৪র্থ তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা আনআম, আয়াত ১- ৪১
কাফেরদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব, তাদের হঠকারী আচরণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, তোমরা একটু চোখ মেলে দেখ ও ভাব। তোমরা যা বলছ ও করছ তা কতটুকু সঠিক?

সুরা আনআম, আয়াত ৪২-৯০
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস ও ঈমানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখানেও কাফেরদের মনে জাগা ও মুখে তোলা অনেক প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব ও আখেরাতের বিশালতা উল্লেখ করে মুমিন সম্প্রদায়কে নসিহত করা হয়েছে। ইবরাহিম (আ.)-এর উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে তিনি ঈমানের নির্দেশ পেলেন, তা বলা হয়েছে বিস্তারিতভাবে।

সুরা আনআম, আয়াত ৯১-১১০
আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব নাজিলের প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতা আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা নিজেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি কীভাবে বিশ্বরাজ্য পরিচালনা করছেন, এর কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে তার প্রতি ঈমান আনার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপরও যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে না, তাদের শাস্তি কী হবে, তা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩য় তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা আনআম, আয়াত ১১১-১৫৪
এই অংশে বলা হয়েছে, চোখের সামনে এতসব নিদর্শন দেখেও অনেকেই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে না। তারা উল্টো হঠকারী আচরণ করবে। পরকালে এদের জীবন কত কষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক হবে, তা-ও বলা হয়েছে। মানুষের উদ্দেশ্যে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে, যেন মানুষ আল্লাহ, কিতাব, নবী ও আখেরাতের প্রতি ঈমান আনতে পারে। উম্মতে মোহাম্মদির জন্য আল্লাহ তাআলা কী খাদ্য হারাম করেছেন আর ইহুদিদের জন্য কী হারাম করেছিলেন, তার একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা করা হয়েছে। এরপর আল্লাহ তায়ালা ইহুদি ধর্মের সঠিক রূপ বলে দিয়েছেন। ওই ধর্মে আসলেই কী কী নিষিদ্ধ ছিল, তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২য় তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা আনআম, আয়াত ১৫৫-১৬৫
এখানে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী কিতাব যা হারাম করেছে, কোরআনও তাই হারাম করেছে। তাই কোরআনের দাওয়াত মেনে নেওয়ার জন্য আর কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না।

সুরা আরাফ, আয়াত ১-১১
কোরআন নাজিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। মানবজাতি সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।