আব্দুল হাকিম
০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল পুরোদমে বেজে উঠেছে। মাঠে সক্রিয় সবচেয়ে বড় দল বিএনপির আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর নির্বাচনি উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। তবে গণভোট, জুলাই সনদসহ কিছু ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ প্রকাশ্যে আসার পর আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করছেন। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদৌ হবে কি না সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার যথাসময়ে নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে বলে ইতোমধ্যে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সময়ের স্বল্পতা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ভোটার তালিকা যাচাই এবং নির্বাচনি প্রস্তুতির অন্যান্য দিক বিবেচনা করে এই সময়ে নির্বাচনের আয়োজন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। তবে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে এবং সেই পথ ধরেই কাজ এগিয়ে চলছে। এজন্য যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজনের পথে কোনো বাধা দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, ইভিএম ও পেপার ব্যালট সরবরাহ, ভোট কেন্দ্র চূড়ান্তকরণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখনো চলমান। ভোটের বাকি আরও তিন মাসের মতো। এই সময়ে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব।
তবে সরকারসহ সব মহলই বলছে, আগামী নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের একটি বড় শক্তি ভোটের বাইরে থাকবে। তারা নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করতে পারে। সেই শঙ্কার কথা মাথায় রেখেই সরকার নির্বাচনি প্রস্তুতি সারছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের বাধা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছেন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র সুর
ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে একসময়ের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে এখন বিরোধ তুঙ্গে। বিএনপির সঙ্গে যেমন কিছু ছোট দল রয়েছে, তেমনি জামায়াতও ইসলামি সমমনা দলগুলো নিয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছে। নভেম্বরের মধ্যে গণভোট, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ কয়েকটি দাবিতে তারা কয়েক দফা আন্দোলন কর্মসূচিও পালন করেছে। সামনে আরও বড় কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল। জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির মধ্যে রাজনৈতিক এই বিরোধ যথাসময়ে নির্বাচন হওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে কি না সেটা নিয়ে অবশ্য একটা সংশয় কাজ করছে জনমনে।
বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলোর নেতারা প্রায় প্রতিদিনই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন, যা থেকে রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়টি সহজেই আঁচ করা যায়। বিশেষ করে গণভোট ও জুলাই সনদ ইস্যুতে দুই রাজনৈতিক শক্তির কথার লড়াই অব্যাহত আছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। গণভোটের প্রসঙ্গে আমরা রাজি হয়েছি। আলাদা করে গণভোটের প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমরা বলেছি নির্বাচনের দিনই গণভোট করা হোক, এতে খরচ কমবে। কারণ আলাদা গণভোটে প্রায় হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। তাই নির্বাচনের ব্যালটে দুটি বিষয় থাকবে- একটি সংসদ নির্বাচন, অন্যটি গণভোট। এটা ছিল একটি যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত। এটা না করে এখন আবার তারা বলছে গণভোট আগে হতে হবে। তারপরে নির্বাচন হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সবাই বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন চাই। যদি তাই হয়, তাহলে সংশয় থাকবে কেন?
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে তার আগে নভেম্বরে গণভোট চায় দলটি। জামায়াত মনে করে, জুলাই সনদের বাস্তবায়নেই রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন সম্ভব।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, সংস্কার প্রক্রিয়া থেকে সরে গিয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে বিএনপি এমন এক অবস্থান নিয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
অন্যদিকে তরুণদের নিয়ে গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণহত্যার বিচার না হলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কোনো অর্থ নেই। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, তা হলে শহীদদের জীবন ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ছাড়া অনুশোচনার কথা মানবে না।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে বারবার দুর্ঘটনা, দায় কার?
দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। সে সময় নির্বাচন হলে-যারা শহীদ হয়ে কবরে আছেন, তাদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যে ভাইটি হাত হারিয়েছেন, তার হাত ফিরিয়ে দিতে হবে।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। পতিত শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। যদি ক্ষমতার লোভে কোনো দল কিংবা কোনো শক্তি যদি মনে করে তারা এককভাবেই সব কিছু করবে বা জাতীয় ঐক্য ভেঙে দেবে বা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়াবে, তাহলে হিতে বিপরীত হবে।
তবে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়া উচিত। তারাই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায়, যারা সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদ মুখোমুখি করতে চায়। যারা জুলাই সনদ চায় না তারা দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, সেটা জনগণ বুঝে গেছে।
নাগরিক সমাজের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
নাগরিক সমাজের কেউ কেউ মনে করছেন, ভোটের জন্য এখনো সময় আছে এবং প্রস্তুতি হলে নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে করা সম্ভব। আবার অনেকে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সন্দিহানও আছেন। প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে কি না এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নাগরিক সমাজের নেতারা বলছেন, ভোটার সচেতনতা বৃদ্ধি, নির্বাচনি প্রচারণা এবং ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।
আরও পড়ুন: ঝকঝকে হাতিরঝিলের ‘বেহাল দশা’
তারা মনে করছেন, নির্বাচন আয়োজনের সময় ও প্রস্তুতির সঙ্গতি নিশ্চিত করা না হলে জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে একটি প্রভাবশালী কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক ঝগড়া একসময় থেমে যাবে। জামায়াতের আমির দেশে ফেরার পর দুই শীর্ষ নেতা-নেত্রীর সঙ্গে কথাও হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আরেক দফা বসতে পারেন। শেষ কথা হলো নির্বাচন সময়মতো হবে।’
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট, অনড় সরকার ও ইসি
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গণভোট ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারির আগে হবে। কোনো শক্তি এটিকে পেছাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মত জানিয়েছে। আমরা এটিকে হুমকি হিসেবে দেখছি না। যেটা সবচেয়ে উত্তম, প্রধান উপদেষ্টা সেটাই করবেন। সরকার আশা করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা, প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা সম্ভব।’
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এসব নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার ও নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ীই নির্বাচন হবে।’
যা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভাব্য হলেও ভোটার তালিকা যাচাই, ব্যালট পেপারের প্রস্তুতি, রিটার্নিং, পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ, ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির মতো কিছু শর্ত পূরণ আবশ্যক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে অনেকগুলো নির্বাচন হয়েছে। যদিও কিছু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তবে বাংলাদেশে যে পরিমাণ প্রশাসনিক জনবল আছে বা অন্যন্য যে অভিজ্ঞতা সেটা থেকে বলা যায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করা সম্ভব।’
‘তবে সরকারের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা অবনতি। যদি সরকার এই বিষয়টি সফলভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, তাহলে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা হবে না। বিশেষ করে আমরা লক্ষ্য করেছি, সরকার আগের প্রশাসনের নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের—বিশেষ করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নতুন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরকার চাইলে আগের ডিসিদের সাময়িকভাবে পুনঃনিয়োগ বা নতুনভাবে অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে। তবে এটিও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে মাঠ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষক অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সরকার চাইলেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন শতভাগ সম্ভব। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনো নির্বাচনের জন্য কয়েক মাস সময় হাতে আছে, যা প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট। এর আগে আমরা দেখেছি, মাত্র তিন মাস সময়ে নির্বাচন করেছে। চার মাসের মধ্যেও জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। বর্তমানে সরকার প্রায় এক থেকে দেড় বছর ধরে অন্তর্র্বতীকালীন অবস্থানে আছে। ফলে তারা প্রশাসনিকভাবে পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত। ফলে যেই সময় আছে সামনে এটা যথেষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার চাইলে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে পারবে। এখন প্রশ্নটা ইচ্ছার। সরকার যদি সত্যিই চায়, তবে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মাঠ প্রশাসনের সমন্বয় সব কিছুই সরকারের হাতে রয়েছে। তাই আমি মনে করি, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সরকার সময়মতো নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে এবং সেটা সরকারের জন্য মোটেও অসম্ভব কোনো কাজ নয়।’
এএইচ/এমআর/জেবি